বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পিতা জামিরুলের হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তির দাবীতে গ্রামবাসীর সাথে রাস্তায় দাড়াতে হলো রজনী, ইভা ও শোভার। রজনী সবার বড়। ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। পিতা নিহত হওয়ার পর তার পড়ালেখা প্রায় বন্ধের পথে। রজনীর স্কুলে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। মেজ মেয়ে ইভার বয়স ৬ বছর। আর শোভার বয়স মাত্র ৫ মাস। ২ মাস বয়সের সময় শোভার পিতাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ৫ মাস বয়সী শোভাকে কোলে নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে মা রেহানা বেগমকেও দাড়াতে হয় মানববন্ধনে। শনিবার সকাল ১০টায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুবিরখালী গ্রামে জামিরুল হত্যার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে গ্রামবাসী। আত্মীয় স্বজনদের অভিযোগ, জামিরুল হত্যায় জড়িতরা জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি তার শিশু সন্তানরা স্কুলে যাওয়ার পথেও হুমকির শিকার হচ্ছে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জামিরুলের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, ১৯ এপ্রিল রাতে তারিখে জিয়ানগর বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ভাইকে গুলি করে হত্যা করে। মামলার আসামিরা আটক হলেও এখন জামিনে বের হয়ে এসে মামলা তুলে নিতে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। গ্রামবাসী জাহিরুন নেছা বলেন, জামিরুল অত্যন্ত ভদ্র ছেলে ছিল। কেউ কোন বিপদে পড়লে জামিরুল সবার আগে ছুটে আসতো। নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, আমার তিনটা মেয়ে। কিভাবে তাদের মানুষ করবো ? বড় মেয়ের লেখাপড়া প্রায় বন্ধের পথে। মামলা তুলে নিতে সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে। হত্যার সময় আমার স্বামীর কাছে যে মোটরসাইকেল ছিল, সেটা এখনো উদ্ধার হয়নি। বড় মেয়ে রজনী জানায়, বাবা মারা যাওয়ার পর কোচিং বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুলে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের লোকজন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এইজন্য স্কুলেও যেতে পারছি না। আমি আমার বাবা হত্যার বিচার চাই। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, পুলিশ এই মামলা সকল আসামিকে গ্রেফতার করেছে। মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। উল্লেখ্য গত ১৯ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে মটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে কুবিরখালী গ্রামের মাঠে জামিরুলকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে নিহতের মামা মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। এই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুল কিলার এখনো ধরা পড়েনি। উদ্ধার হয়নি জামিরুলের মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলটি ৩ বার হাত বদল হয়ে এখন যশোরের নাভারণ এলাকায় আছে বলে একটি সূত্র জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।