পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে মুসলমান হত্যা-নিপীড়ন, নারী ধর্ষণ, বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে রাজপথে মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে সভাপতির ভাষণে দলের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নামে পরিচিত ভারতে রাষ্ট্রীয় ইন্ধনে চরমপন্থী হিন্দুরা সে দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের হত্যা-নির্যাতন, নারী ধর্ষণ ও মুসলমানদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। সে দেশে মুসলমানদেরকে ইবাদতসহ ধর্র্মীয় রীতি-নীতি পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে। গরু জাবাই ও গোশত খাওয়ার কারণে পিটিয়ে হত্যা করে উল্লাস করছে। মুসলমানদেরকে হিন্দু দেবতার নামে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে সেøাগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাÐ কোন ধর্ম, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন সমর্থন করে না। ভারতের মুসলমানদের রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার বিকালে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে ভারতে মুসলমান হত্যাÑনিপীড়ন, নারী ধর্ষণ, বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মুফতি আফম আকরাম হুসাইন ও ইবরাহিম খলিল নোমানী প্রমুখ।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পরপরই ভারতে মুসলিম বিরোধী সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। উগ্রপন্থী বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণেই মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক জুলুম-নির্যাতন বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে জেহাদের মাধ্যমে ভারতবর্ষকে ইংরেজ শাসনমুক্ত করা হয়েছে। ভারত শুধু হিন্দুদের দেশ নয়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সে দেশের নাগরিক। সংখ্যালঘু মুসলমানদের নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার খর্ব করে সংখ্যাগরিষ্ঠদের স্বেচ্ছাচারী শাসন বিশ্ববাসী মেনে নিতে পারে না।
মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, ভারতে মুসলমানরা ভেসে আসেনি। মুসলমানরাই শত শত বছর যাবত ভারত শাসন করেছে। ধর্ম-কর্মে বাধা দেয়ার অধিকার কারো নেই। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে গর্জে উঠলে হিন্দুরা পালাবার পথ খুঁজে পাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ঢাকা মহানগর ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে মুসলিম নির্যাতন করে যাচ্ছে। মোদি সরকার মুসলিম নিধন বন্ধে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে বাংলাদেশের মুসলমানরা ভারত অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।