Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নিরাপত্তা সামরিক সম্পর্ক শক্তিশালী পর্যায়ে আছে

যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৩তম স্বাধীনতা দিবসে মিলার

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান অংশীদার এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাফল্যগুলোর একটি। আমেরিকার বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ এখন সারা বিশ্বের আকাশে লাল-সবুজ পাতাকা ওড়াচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির ঢাকা মিশন আয়োজিত গত বুধবার জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এমন মন্তব্য করেন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, রাষ্ট্রদূত মিলার এবং ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস দিনটি উদযাপন উপলক্ষে ৩ জুলাই একটি জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দিবস প্রথমবারের মতো পালন করতে পেরে আমি আনন্দিত। এই চমৎকার দেশের চেয়ে ভালো আর কোনো জায়গা হতে পারে না, যেখানে আমি আমার দেশের স্বাধীনতা দিবস ও বুনিয়াদি নীতি উদযাপন করতে পারি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য গত বছর ৮.২ বিলিয়নে পৌঁছেছে, আগের বছরের চেয়ে যা দ্বিগুণ- এই তথ্য জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের অর্ধেকের বেশি উৎপাদন করছে আমেরিকার কোম্পানিগুলো। তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, ইঞ্জিন সরবরাহ করছে, এবং হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষিত করছে।
মিলার বলেন, আমাদের নিরাপত্তা ও সামরিক সম্পর্ক এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে আছে। রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে যারা ৫৪১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। ১ মিলিয়নের বেশি নির্যাতিত রোহিঙ্গার জন্য সীমান্ত ও হৃদয় খুলে দেওয়ার জন্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিবাদন জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ইউএসএআইডি ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি যোগান দিয়েছে, যার মধ্যে গত বছর ছিল ২১৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি, কার্যকর স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাড়া প্রদানের সক্ষমতা তৈরির পেছনে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমরা স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা হ্রাস এবং নারীর ক্ষমতায়ন এবং মানব পাচার বন্ধে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সহায়তা দিয়ে থাকি।

এক অর্থে, আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা সবাই আমেরিকান, এবং আমরা সবাই মানবতার মহাঐক্যে শামিল- উল্লেখ করে মিলার বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, একে অন্যের এই অটুট সহযোগিতার কেন্দ্রে আছে আমাদের দুই দেশের মানুষে মানুষে সংযোগ। আমেরিকায় ২ লাখ বাংলাদেশির বসবাস। প্রতি বছর আমেরিকার কলেজ ক্যাম্পাসগুলোয় ৭,৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতায় সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি বলেছিলেন, আমেরিকার সত্যিকার বিদেশ নীতি হলো নাগরিকে নাগরিকে, বন্ধুতে বন্ধুতে, মানুষে মানুষে, ভ্রাতৃত্বের এমন বৈদেশিক বন্ধন, যা কোনো অপশাসন নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না।

 



 

Show all comments
  • Cheryl Smothers ৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    GOD BLESS AMERICA!!!
    Total Reply(0) Reply
  • মনিরুল ইসলাম ৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    আমেরিকার সাথে খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে চলতে হবে। ওদের সব জায়গায় মোড়লি করার অভ্যাস
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Mofazzal Hossain ৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Akbar ৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    বাংলাদেশ ও আমেরিকার সম্পর্ক দীর্ঘজীবী হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ জুলাই, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    দুদেশের মধ্যে যে কোনো সম্পর্কে সমতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিরাপত্তা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ