Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণ নাটক

১৪ মাস পর পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ১৪ মাস আগে আত্মগোপন করেন ঢাকার দোহার থানার নারিশা পশ্চিম চর এলাকার মাতাব আলী আকনের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০)। এ ঘটনায় রহিম অপহৃত হয়েছেন এমন দাবি করে তার পরিবার মামলা করেন। সেই মামলায় জেলও খেটেছেন নিরাপরাধ দুই ব্যক্তি। যদিও এতদিন পর জানা গেলো ভিন্ন কথা। রহিম আসলে অপহৃত হননি। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে আত্মগোপনের নাটক সাঁজিয়েছিলেন তিনি।

গত বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা ওই ব্যক্তিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার বানাতি বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলার একটি দল। গতকাল বৃস্পতিবার অভিযানে নের্তৃত্ব দেওয়া পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আব্দুর রহিম একজন ব্যবসায়ী। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কেনাবেঁচা করেন। অটোরিকশা বেঁচাকেনা নিয়ে কামরুল হাওলাদার (৪০) ও লিটন মাদবর (৩০) নামে দুই ব্যক্তির সঙ্গে ২০১৮ সালের মার্চে তার লেনদেন হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলাও হয়। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষকে ফ৭াসাতেই আব্দুর রহিম আত্মগোপনে চলে যায়।

এদিকে, আব্দুর রহিম আত্মগোপনে যাওয়ার পর তার ছেলে মো. সিফাত বাদী হয়ে কামরুল হাওলাদার, লিটন মাদবর, আলতাফ ও অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে অপহরণের একটি নালিশি মামলা করেন। আদালত সিফাতের অভিযোগটি দোহার থানাকে এজাহার উপলক্ষে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর দোহার থানা পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলে তারা কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান।

সালেহ ইমরান আরও বলেন, দোহার থানা আব্দুর রহিমের কোনও সন্ধান না পেলে ১১ মাস পর পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ঢাকা জেলা পিবিআই এক মাসের তদন্ত শেষে আত্মগোপনে থাকা রহিমকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নাটক সাজানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ