বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শ্বেত সুন্দরী খ্যাত রসুনের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে। গত ১৫ দিনে নরসিংদীর বিভিন্ন বাজারে দেশি রসুনের কেজিপ্রতি মূল্য বেড়েছে ৩০ টাকা। আমদানিকৃত চায়না রসুনের কেজিপ্রতি মূল্য বেড়েছে ৬০ টাকা। বাজারে এখন দেশী রসুনের মূল্য ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত চায়না রসুন ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ রসুনের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সচেতন ভোক্তা ও ক্রেতাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে রসুনের আমদানি ঘাটতি নেই। এরপরও হঠাৎ কেন রসুনের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তার কারণ বলতে পারেনা খুচরা বিক্রেতারা। তারা জানিয়েছেন, পাইকারী বাজারেই রসুনের মূল্য বেড়েছে। তারা পাইকারি বাজার থেকে কিনে স্বল্প লাভে খুচরা বাজারে বিক্রি করেন। পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রসুন এর মূল্য বৃদ্ধির কারণ বলতে পারবে আড়তদাররা। আড়তদারদের নিকট থেকে বাড়তি মূল্যে কিনে তারা খুচরা বিক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করে।
গ্রাহকরা জানিয়েছেন, আগামী কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় মসলা সিন্ডিকেট রসুন মজুদ করে রাখছে। কৃষিবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন রসুনের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে ৬৪ টি জেলায় উৎপাদন হয় কমবেশি ২ লাখ মেট্রিকটন রসুন। ঘাটতি থেকে যায় বছরে ২ থেকে ৩ লাখ মেট্রিকটন রসুনের। এই ঘাটতি পূরণ করা হয় আমদানিকৃত রসুন দিয়ে। আর প্রায় প্রতি বছরই এই সুযোগটি গ্রহণ করে আমদানিকারক গোষ্ঠী এবং মসলা সিন্ডিকেট। দেশের রসুনের উৎপাদন ঘাটতি সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর আমদানিকারক ও মসলা সিন্ডিকেট প্রতিবছর অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্যে রসুন বিক্রি করে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। বছরের পর বছর ধরে আমদানিকারক ও মসলা সিন্ডিকেটের মনোপলি ব্যবসা বন্ধে কোন সরকারই কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গত ১৫ দিন আগেও আমদানিকৃত চায়না রসুনের কেজিপ্রতি মূল্য ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৬০ টাকা মূল্যবৃদ্ধি প্রমাণ করে আমদানিকারক মসল্লা সিন্ডিকেটের যৌথ কারসাজিতেই এই অস্বাভাবিক মূল্য বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।