পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধান, গম, আলু, ভুট্টা আর লিচু নয় এবার দিনাজপুরে সাদা সোনা খ্যাত রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই অঞ্চলের রসুন জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় বিভিন্ন জেলায়। ব্যাপকভাবে আমদানির কারণে এবার রসুনের দাম নেই রসুনের। ফলে ভালো ফলন হলেও এবার কৃষকেরা লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন। রসুন আবাদকে লাভজনক করতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। অপরদিকে উৎপাদনের দিকে খেয়াল রেখে উৎপাদন মৌসুমে আমদানী কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।
জেলার প্রতিটি উপজেলায় রসুন আবাদ হলেও। সাদা সোনাখ্যাত রসুন খানসামা, চিরিরবন্দর ও বীরগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। রসুনের ফলন দেখে এখন অন্যান্য উপজেলাতেও এর আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ব্যাপক উৎপাদনের কারণে এই অঞ্চলের রসুন জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। গতবছর আকষ্মিক মূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় কৃষক এবার বেশি পরিমাণ রসুন আবাদ করেছে। ফিতা কাটা অর্থাৎ গাছ থেকে রসুন কেটে নেয়া আগাম জাতের এসব রসুনের গাছ এখন মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে। ফিতা কাটা এসব রসুন উঠার সময় গ্রামের মহিলাদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। সকাল থেকে মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টা ক্ষেতে বসেই বটি দিয়ে গাছ থেকে রসুন কেটে থাকে। ১৫ টাকা ডালি হিসাবে মজুরী’র বিনিময়ে বাড়ীর কাজের ফাকে তারা কাজ করে বাড়তি আয় করে থাকে।
আগাম জাতের এসব রসুন ইতিমধ্যেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে। দিনভর কেটে বস্তায় করে বাজারে নিয়ে আসছে কৃষক। এবার ভালো ফলন হলেও কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ তারা। তারা বলছেন গত বছর প্রতিকেজি রসুন এই সময় ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে। তখন লাভের মুখ দেখেছে। এবার সর্বোচ্চ ২৫-২৮ টাকা কেজি দরে রসুন বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পাওয়ায় এই দরে রসুন বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। খানসামা উপজেলার কাচিনিয়া বাজার থেকে সপ্তাহে দুদিন শত শত টন রসুন দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে।
ফড়েয়া বা আড়তদারদের মতে মৌসুমের কথা বিবেচনায় রেখে আগে থেকেই আমদানী বন্ধ করলে ন্যয্য মূল্য নিশ্চিত করা যাবে। একইসাথে সংরক্ষনের জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী স্থানীয়দের। এটি হলে সঠিক সময় কৃষকরা এই রসুন বিক্রি করতে পারবে এবং দামও পাবে। খানসামা উপজেলার বাসিন্দা লায়ন সফিউল আযম চৌধুরী জানালেন, সংরক্ষনের পাশাপাশি পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় কৃষকদের উৎপাদিত রসুনের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা হলে এর আবাদ বৃদ্ধি পাবে এবং রসুনে দেশ স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে রফতানি করাও যাবে।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক অশোক কুমার রায় জানালেন, রসুন লাভজনক ফসল হওয়ায় দিন দিন এই চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। দিনাজপুর জেলায় মোট ৫হাজার হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয় এবং যা থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন রসুন উৎপাদন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।