নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খেলতে নেমেছিলেন নিজের ২০০তম ওয়ানডে। শুরুতেই সুযোগ পেয়েছিলেন মাইলফলকের ম্যাচটি আলোয় রাঙানোর। তবে ভাগ্যটাই যে খারাপ তামিম ইকবালের! যার দক্ষ হাতে একের পর এক অবিশ্বাস্য ক্যাচ ফ্রেমবন্দী, যার দুর্দান্ত ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পায়নি তার কঠোর সমালোচকেরাও, দেশসেরা সেই ফিল্ডারের হাত ফসকেই যে বেরিয়ে গেল অতি সহজ এক ক্যাচ! মাত্র ৯ রানের মাথায় যার ক্যাচ ছাড়লেন সেই রোহিত শর্মার আগুনে শতকে রানপাহাড়ে ভারত, খুব কাছে গিয়েও বাংলাদেশকে লিখতে হয়েছে আরেকটি বেদনার কাব্য।
ব্যাট হাতে সুযোগ পেয়েছিলেন সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেবার। কিন্তু আগের অমার্জনীয় ভুলের ভূত তাড়া করলো সেখানেও। ক্রিজে এসেই শুরু থেকেই করেছেন ছটফট, অতিরিক্ত চাপেই কি-না খেলেছেন অনিয়ন্ত্রিত শট। পরিণতি, সম্ভাবনা জাগিয়েও আরেকটি সুন্দর ইনিংসের অকাল মৃত্যু। ভারত শক্তিশালী দল তাতে কোন সন্দেহ নেই। পরিসংখ্যান আর শক্তিমত্তার বিচারে বাংলাদেশের সঙ্গে পার্থক্যও যোজন যোজন। তাই বলে অজেয় যে নয়, আগের ম্যাচেই তা করে দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। বোলিং যাচ্ছেতাই, ফিল্ডিংটা হলো তার চেয়েও দৃষ্টিকটু, যে শক্তিতে ভর করে সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিল বাংলাদেশ তারও অপমৃত্যু ঘটেছে সেই ব্যাটিং দুর্বলতাতেই।
শেষ চারের আশা শেষ। ভারতের কাছে ‘অনাকাক্সিক্ষত’ হারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপও কি শেষ? ম্যাচ এখনও বাকি একটি। আপাতদৃষ্টিতে যেটিকে মনে হতে পারে ¯্রফে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। আদতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচ থেকেও পাওয়ার আছে কিছু। সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। তবে একটি লক্ষ্য পূরণের সুযোগ এখনও আছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিপক্ষের নাম উল্লেখ করে না বললেও দল সংশ্লিষ্ট সবাই নানা সময়ে, নানা জায়গায় বলেছেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য ৫টি জয়। শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, পাকিস্তানকে হারানো, সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের অন্তত একটিতে জয়। সম্ভাব্য সেই পাঁচ জয়ের তিনটি ধরা দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ ভাসিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। লক্ষ্য পূরণের শেষ ধাপ পাকিস্তানকে হারানো। সেমি-ফাইনালের ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন তাতে জোড়া লাগবে না। তবে নিজেদের কাজটুকু করতে পারার স্বস্তি থাকবে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আরেকটি দিক থেকেও বেশ জরুরি। পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে থাকা। নিজেদের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালে এবং পরদিন ভারতের কাছে শ্রীলঙ্কা হারলে বাংলাদেশই থাকবে পাঁচে। শীর্ষ চারের বাইরে এই অবস্থানগুলোর মূল্য হয়তো এমনিতে সামান্যই আছে। তবে বিশ্বকাপের মতো আসরে বিরুদ্ধ কন্ডিশেনে পঞ্চম সেরা দল হতে পারলে, বাংলাদেশের জন্য সেই অর্জন কম কিছু হবে না।
সেমি-ফাইনালে উঠতে না পারলেও এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা বেশ নজর কেড়েছে ক্রিকেটে কুলীন দেশগুলির। ধারাভাষ্যকক্ষে, সাবেকদের বিশ্লেষণে উচ্ছ¡সিত প্রশংসা পেয়েছে দল। যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে নিজেদের ছাপ রেখেছে দল, আদায় করে নিয়েছে স্তুতি, শেষ ম্যাচেও নিজেদের সেই ঘরানার ক্রিকেটের সেরাটা দেখাতে চাইবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এক আসরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জয় ২০০৭ ও ২০১৫ আসরে, তিনটি করে। এবার তিনটি জয় পাওয়া হয়ে গেছে এর মধ্যেই। শেষ ম্যাচে হাতছানি নতুন রেকর্ডের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।