নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১১ বছর কেটে গেছে। কেউ কথা রাখেনি। গোধূলি বেলায় দু’হাত উঁচিয়ে কেউ বলেনি-‘আমরা জিতেছি’। সাকিব আল হাসান থেকে শুরু করে লিটন দাস পর্যন্ত যারাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন তারা সবাই দেখিয়েছেন চোখ জুড়ানো স্বপ্ন। যা ফিকে হয়ে গেছে ঘুম ভাঙার সাথে সাথেই। সাকিব থেকে লিটন অধ্যায়ের মাঝে মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মাহমুদউল্লাহর কাঁধেও ছিল অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড। তারাও দেখিয়েছিলেন রঙিণ স্বপ্ন, যা পরে ধারণ করেছে ধূসর বর্ণে। কিউইদের বিপক্ষে মোট ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। দলপতি ছিলেন ৫ জন। কেউ কথা রাখতে না পারায় লাল-সবুজদের বিপক্ষে কিউইদের সাফল্যাঙ্ক ১০-০! তাইতো আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি সফরকারিদের হারিয়ে ‘প্রথম’ জয়ের সন্ধান করছে টাইগাররা।
১০-০, এই পরিসংখ্যানটা ক্রিকেটভক্তদের কাছে অনেকটাই গুরুত্ব হারিয়েছে। কারন কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল মাহমুদউল্লাহর দল। কিন্তু সাকিব-আফিফদের সেদিকে তাকানোর সময় কোথায়? তাদের ফোকাস ছিল ক্রিকেট খেলা ও জেতা। দু’টোই করতে পেরেছিলেন তারা। এবার অজিদের ছোটভাই হিসেবে পরিচিত তাসমান প্রতিবেশি কিউইদের বিপক্ষেও টাইগারদের গেমপ্ল্যান একই।
ওশেনিয়া মহাদেশে অবস্থিত প্রায় ৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির অধিনায়ক টম ল্যাথাম। যিনি কিনা টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা নিয়মিতও না। এছাড়া দলটির ঘোষিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে নেই বাংলাদেশ সফররত একজন খেলোয়াড়ও! এতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড যে ব্যাখ্যাই দিক-না কেন, তা গ্রহনযোগ্য হতো যদি ভারতের বিপক্ষেও একই দল নিয়ে খেলত। অবশ্য এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ বাংলাদেশ।
বাস্তবতা হলো, আপনি যেই দলই পাঠান না কেন-তারা নিউজিল্যান্ডেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। পরিসংখ্যানের পাতায় কখনও লেখা থাকবে না, কোন মানের দলের বিপক্ষে আপনি খেলছেন। দিনশেষে সেখানে জয়-পরাজয়টাই আসল কথা। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব অন্তত বিষয়টি সেভাবেই দেখেন।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দল কতটা ভয়াবহ, তা টের পেয়েছে সব বড় দলই। যার সর্বশেষ উদাহরন অস্ট্রেলিয়া। অজিদের বিপক্ষে ব্যাটহাতে নাঈম শেখ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ও শামীম হোসেনরা যেভাবে খেলেছেন তাতে সফরকারিদের হা-হুতাশ করা ছাড়া কোন গতি ছিল না। অন্যদিকে অজিদের টেস্ট পেপারের সাজেশন পুরো উল্টে দিযেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্পিনে প্রস্তুতি নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছিলো অজিরা, তাতে পুরো আগুন ঢেলে দিয়েছিলেন এই পেসার। তার বৈচিত্র্যময় বলে নাকানিচুবানি খেয়ে উত্তরণের কোন উপায় খুঁজে পায়নি তারা। অন্যদিকে ব্যাকফুটে পড়েও ঘুরে দাঁড়ানোর অনন্য নজির উপস্থাপন করেছিলেন সাকিব।
বাংলাদেশ দলের কোচ ও নির্বাচকেরা এখন পড়েছেন মধুর সমস্যায়। দলে যথেষ্ঠ বিকল্প খেলোয়াড় থাকায় দল নির্বাচন করাও কঠিন হয়ে গেছে তাদের জন্য। গত সিরিজে খেলতে না পারা মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, রুবেল হোসেন, তাইজুল ইসলামরা ফিরেছেন এবারের স্কোয়াডে। মূল একাদশে কারা সুযোগ পাবেন সেটাও দেখার একটি বিষয়। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল গোছাতেও সহায়তা করবে এই সিরিজ।
কিন্তু ঘরের মাঠে মাহমুদউল্লাহ এবার যে আশা দেখিয়েছেন, সে আশায় আমরা ভাসতে চাই। স্বপ্ন সত্য করে উড়ে বেড়াতে চাই। আগের সব ধূসর গল্প এবার রঙিণ করে ফ্রেমে বেঁধে রাখতে চাই। তবে সেজন্য কথা রাখতে হবে মাহমুদউল্লাহকে। অজি বধের পর তিনি কথা রাখবেন, সে আশা আমরা করতেই পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।