পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস পার করলো ব্যাংকগুলো। এরই মধ্যে অর্ধবার্ষিক পরিচালন মুনাফার প্রাথমিক হিসাবও করেছে অধিকাংশ ব্যাংক। এতে দেখা গেছে, প্রথমার্থে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অধিকাংশই ভাল পরিচালনা করেছে। । তবে খেলাপিঋণের চাপ ও ৯ শতাংশ সুদ কার্যকর করতে গিয়ে রাস্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমে গেছে। অগ্রণী ও বেসিক ব্যাংকের এক শত কোটি টাকার মত মুনাফা কমেছে বলে জানা গেছে। জনতা ব্যাংকের মুনাফাও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ।
বরাবরের মত সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে ইসলামী ব্যাংক। গত বছরের জুনে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ১০২১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪০ কোটি মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৪০ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫১০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে ডাচবাংলা ব্যাংক, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪১৮ কোটি টাকা। এছাড়া পর্যায়ক্রমে শীর্ষ মুনাফা অর্জনকারী ব্যাংকগুলো হচ্ছে সাউথইস্ট ব্যাংক ৫০৫ কোটি, ব্যাংক এশিয়া ৪৭৫ কোটি, আল আরাফাহ ৪০৫ কোটি, দি সিটি ৩৭০ কোটি, এনসিসি ৩৬২ কোটি, মার্কেন্টাইল ৩৩১ কোটি, এক্সিম ৩৩০, শাহজালাল ইসলামী ৩২০ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ৩০০ কোটি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ৯০ কোটি ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক ৯০ কোটি টাকা।
গত ২০১৭ সালের জুন থেকেই ব্যাংকগুলো আগ্রাসী ঋণ বিতরণ শুরু করে। ২০১৮ বছরের জানুয়ারিতে এসে ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘণ করায় নতুন করে ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ঋণের চাহিদা থাকলে আমানত সংগ্রহ বাড়াতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ বিতরণ করার মত অর্থ নেই অধিকাংশ ব্যাংকের কাছে। এর মধ্যে খেলাপির সংকট তীব্র হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ তিনমাসেই খেলাপি ঋণ ১৭ হাজার কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। জুন পর্যন্ত হিসাবেও খেলাপী ঋন বাড়বে বলে জানা গেছে। পরিচালন মুনাফার সিংহভাগে খেয়ে ফেলবে পাহাড়সম এই খেলাপী ঋণ।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিধিনিষেদের কারণে অনিরিক্ষিত পরিচালন মুনাফা প্রকাশ করতে পারে না ব্যাংকগুলো। তবে ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, অনেক ব্যাংকই এই ছয় মাসে ভাল মুনাফা করেছে। তবে এই মুনাফাই ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। পরিচালন মুনাফা থেকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) এবং করপোরেট কর পরিশোধের পর যে অংশটুকু থাকে সেটাই প্রকৃত মুনাফা। বিএসইসি নিয়মানুসারে ব্যাংকগুলো পরিচালন মুনাফার তথ্য প্রকাশ করতে পারে না।
গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা ছিল ২৬ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। তবে খেলাপি ঋণের কারণে প্রকৃত মুনাফা হয় মাত্র ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
সাধারণত ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ রেখে এই হিসাব-নিকাশ করে ব্যাংকগুলো। সোমবার (১ জুলাই) ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ব্যাংকের সার্বিক লেনদেন বন্ধ ছিল। কর্মকর্তারা হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করেছেন। তবে পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।