মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
স¤প্রতি কাউন্সিল ফর সোশ্যাল ডেভলপমেন্টের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতে অর্থনৈতিক বৈষম্য ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘সবকা বিকাশ’ বুলি আউড়ে মোদি সরকার ক্ষমতায় এলেও, পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছে। বিগত পাঁচ বছরে এই বৈষম্য আরও বেড়েছে।
গত সোমবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং একটি সভায় কাউন্সিল ফর সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট (সিএসডি)-র এই রিপোর্টটি উল্লেখ করে বলেছিলেন, দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্প ও কর্মসূচি সত্তে¡ও গত ১৭ বছরে দেশের সম্পদ বৈষম্য ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা ‘রাইজিং ইনইকুয়ালিটিস ইন ইন্ডিয়া, ২০১৮’ শীর্ষক এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আয় বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে ছয়গুণ। ২০১৫ সালে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তি দেশের সম্পদের প্রায় এক চতুর্থাংশ ভোগ করতেন। যা ১৯৮০ সালের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের মোট ১০ শতাংশ ধনী ব্যক্তি দেশের মোট সম্পদের ৮০.৭ শতাংশ ভোগ করেন, অথচ বাকি ৯০ শতাংশ দেশের মোট সম্পদের মাত্র ১৯.৩ শতাংশ ভোগ করেন। ‘অক্সফাম’ নামে একটি এনজিও এই ফলাফলগুলিকে নিশ্চিত করে আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ভারতের ১০ শতাংশ ধনী জাতীয় সম্পদের ৭৭.৪ শতাংশ এবং শীর্ষস্থানীয় ১ শতাংশ ধনী জাতীয় সম্পদের ৫১.৫৩ শতাংশ ভোগ করে। এই ১ শতাংশ ধনীর প্রতিদিনের আয় ২২০০ কোটি টাকা। চাকরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি ও এনডিএ জোট। কিন্ত সা¤প্রতিক রিপোর্টে প্রকাশ, বৈষম্য ও দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে গত ৫ বছরে এনডিএ সরকারের ফলাফল আগের থেকে আরও খারাপ। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।