পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রবিবার (৩০ জুন) দিবাগত রাতে নানা গুঞ্জন ছড়ালেও আজ সোমবার (১ জুলাই) সকালের খবর, অপরিবর্তিত রয়েছে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা। গত বুধবার (২৬ জুন) থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এই বিশেষ দূত।
এরশাদের প্রেস সেক্রেটারি ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় সাংবাদিকদের জানান, তার (এরশাদের) শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তাকে অক্সিজেনের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে চিকিৎসকরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
জাতীয় পার্টির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এরশাদের শারীরিক অবস্থা গত কয়েকমাসে ক্রমান্বয়ে খারাপ হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। এরশাদের ছোটভাই, জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের সেদিন জানিয়েছিলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় এইচএম এরশাদের শারীরিক অবস্থার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়েছে।’
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তির কয়েক মাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন এরশাদ। পরে বিভিন্ন সময় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছেন।
এদিকে, এরশাদের শরীরের অবনতির খবর পেয়ে রবিবার সারা রাতই পার্টির দায়িত্বশীল নেতারা সামরিক হাসপাতালে গেছেন, দূর থেকে তাকে একটু দেখার জন্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভেতরে প্রবেশ করতে না দিলেও রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল।
রবিবার রাতে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘স্যারকে দেখতে যাচ্ছি, তবে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবো কিনা, জানি না।’
জাপার বর্তমান নেতাদের পাশাপাশি সাবেক নেতারাও এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে ছুটে যান। জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সামরিক হাসপাতালে এরশাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
এর আগে, রবিবার (৩০ জুন) বিকালে এরশাদের ভাই জিএম কাদের সাংবাদিকদের জানান, সকাল থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ফুসফুসে পানি চলে এসেছে, ইনফেকশনও দেখা দিয়েছে। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়।
এদিন বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য এরশাদকে দেশের বাইরে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে পরিবারের। তবে এই মুহূর্তে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসায় আমাদের আস্থা আছে।
গত ২০ জানুয়ারি এরশাদকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এরশাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। এই কারণে নির্বাচনি প্রচারণায়ও অংশ নিতে পারেননি।
সম্প্রতি এরশাদ শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেন তার ছোট ভাই জিএম কাদেরকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।