বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীর লালখান বাজারে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দু’টি মামলা দায়েরের পর শনিবার গভীর রাত থেকে গতকাল রোববার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অভিযানে খুলশী থানা পুলিশকে সহযোগিতা করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম।
এর আগে শুক্রবার রাতে ও শনিবার বিকেলে লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলালের অনুসারীদের মধ্যে দুদফা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকেলে সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশকে চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে হয়। এসময় একজন গুলিবিদ্ধসহ ১০জন আহত হন।
গ্রেফতারকৃতদের গতকাল বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) সাহাবুদ্দিন খান বলেন, আদালত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে পরবর্তীতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, লালখান বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক মামলায় ১৭জন এবং অন্য মামলায় একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। রাতভর অভিযানে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হলেন- নগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও লালখান বাজার ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদ আজিজ (৪১), স্থানীয় যুবলীগ নেতা আহমেদুল হাসান জুয়েল (৩৫), সাইদুল ইসলাম (৩৫), সৃজন দাশ (৪০) ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান (৩০)।
গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে তৌহিদ আজিজ আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী এবং বাকি চারজন বেলালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সালে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে লালখান বাজার ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়েছিলেন তৌহিদ আজিজ। তখন মাসুম সমর্থিত এফ কবির আহমেদ মানিকের কাছে তিনি পরাজিত হন। কাউন্সিলর মানিক বর্তমানে মাসুমের বিরোধী বলয়ে আছেন। আর তৌহিদ আজিজ গেছেন মাসুমের বলয়ে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, রাতভর অভিযান চালিয়েছি। সংঘর্ষের সময় যারা ছিল, পাঁচজনের বিষয় নিশ্চিত হয়ে আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি।
এদিকে খুলশী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১৩ জনকে। এরা হলেন- নুরুল আবছার (৩২), আব্দুল মান্নান (২৪), জাহিদুর রহমান (২১), মো. সোহাগ (২১), আলী হোসেন (২৩), ফয়সাল আহম্মদ (২১), মো. জুয়েল (২০), মো. হৃদয় (১৮), মো. ইব্রাহীম (৬২), মো. সাজ্জাদ (২৪), আবু দাউদ রাজু (২৬), মো. আনিস (২৪) ও মো. সোহেল (২৯)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।