Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪৩ বছর পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে শ্রীলঙ্কার জল্লাদ নিয়োগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৯, ৪:৫৪ পিএম

এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় ধর্ষণ, খুন ও মাদক কারবারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। যদিও ১৯৭৬ সালে এই শাস্তির বিধান রেখে একটি আইন পাশ হলেও এখনো কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। আইন পাশের দীর্ঘ ৪৩ বছর পর এবার দেশটিতে প্রথমবারের মতো মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য দুই জল্লাদকে নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মূলত খুব শিগগিরই চারটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্যই এই জল্লাদ নিয়োগ দেওয়া হলো। বিবিসি

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত পাঁচ বছর আগে দেশটির সর্বশেষ জল্লাদ কারাগারে ফাঁসির বেদী দেখা মাত্রই পদত্যাগ করেছিলেন। পরে গত বছরও আরও একজনকে নিয়োগ দেওয়া হলে তিনি ভয়ে কাজেই আসেননি।

এসবের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই জল্লাদ নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। যেখানে মোট ১০০টির বেশি আবেদন জমা পড়ে। কর্তৃপক্ষের দেওয়া এই বিজ্ঞাপনে প্রার্থীদের ‘শক্তিশালী নৈতিক চরিত্র’ থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞাপনে এও বলা ছিল, আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই ‘মানসিকভাবে শক্ত’ হতে হবে। কেবল মাত্র ১৮-৪৫ বছর বয়সী শুধু শ্রীলঙ্কান পুরুষরাই এ পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদিও এর পরও দুই লঙ্কান নারী ও দুই মার্কিন নাগরিক আবেদন করেছিলেন। অবশেষে এদের মধ্য থেকে বিস্তর বাছাই ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে মোট দুই জনকে এই জল্লাদ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যাদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন লঙ্কান কারা কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯৭৬ সালের পর থেকে দেশটিতে কোনো অপরাধের জন্য শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে এবার একসঙ্গে মোট চারটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মাধ্যমে এই স্থগিতাদেশের সমাপ্তি টানা হচ্ছে।

এ দিকে এই জল্লাদ নিয়োগের পরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ঘোষণা দেন; মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সেই চারজনের মৃত্যুদণ্ড খুব শিগগিরই কার্যকর হবে। যদিও পুনরায় এই মৃত্যুদণ্ড প্রথা চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে ইতোমধ্যে পশ্চিমা বিশ্বে লঙ্কান সরকারকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা তার ঘোষণায় বলেন, ‘মাদক কারবারিদের মোকাবিলা করতে আবারও এই মৃত্যুদণ্ডের প্রথা চালু করা হচ্ছে। আমি এরই মধ্যে বন্দিদের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছি। কিন্তু তাদের এখনো জানানো হয়নি। আমরা এখনই তাদের নাম ঘোষণা করতে চাই না। কেননা তাতে কারাগারে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে।’ সিরিসেনা বলছেন, শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে প্রায় দুই লাখের মতো মাদকাসক্ত রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে আবার এখনো কারাগারে যারা সাজা ভোগ করছে। যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই এই মাদকদ্রব্য সম্পর্কিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রীলঙ্কা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ