পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টেলিযোগাযোগ সেবায় করবৃদ্ধি না করেও বাড়তি আরো ৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল (শনিবার) ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে বর্ধিত কর প্রত্যাহারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে দেয়া স্মারকলিপিতে সংগঠনটি এ দাবি করে। স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, প্রান্তিক পর্যায়ে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক ও মানসম্পন্ন সেবা পৌঁছানো হলে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আসবে। নতুন করে যে কর বৃদ্ধি করা হয়েছে তাতে সরকার হয়তো ৩ হাজার কোটি টাকার মত রাজস্ব পাবে। নতুন সিম ক্রয়ে ট্যাক্স ও কলরেট বাড়লে প্রান্তিক নিম্ন আয়ের লোকজন নতুন সংযোগ গ্রহণ থেকে নিরুৎসাহিত হবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে সক্রিয় সীম ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি ৬৫ লাখ। স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ। তাছাড়া ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী প্রায় ১ কেটি ৭৫ লাখ। এখনও দেশে প্রায় ৪৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবার বাহিরে আছে। বর্তমানে মোট জিডিপি’র প্রায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব এ খাত থেকে আসে। এর ধারাবাহিকতা থাকলে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে এ খাত থেকে রাজস্ব আসবে প্রায় মোট জিডিপি’র ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন বলেছে, গত ৫ বছরে এ খাতে ৫ বার কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পরেও গত বছর ১৫ আগস্ট নতুন করে কলরেট বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাই অপারেটরদের উপর নতুন করে কর্পোরেট ট্যাক্স বৃদ্ধি না করে বকেয়া ১২ হাজার কোটি টাকা আগে আদায় করা হোক। একই সাথে সারাদেশকে উন্নত নেটওয়ার্কিং এর আওতায় এনে টেলিযোগাযোগ সেবার বাহিরে যারা আছে তাদের নিয়ে আসা হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।