বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরগুনায় রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই বলে জানিয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, রিফাত শরীফের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল যায় এবং পুলিশের সহযোগিতায় আহত রিফাত শরীফকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা রিফাত শরীফকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সে সময়ও পুলিশ বেশ সহযোগিতা করে।
তিনি আরও বলেন, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের কোনো দায়িত্বে অবহেলা আছে কি-না তা জানার জন্য আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটিও পুলিশের কোনো দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পায়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, রিফাত শরীফের হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। আসামিদের গ্রেফতার এড়াতে কোনো চাপ নেই। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার এড়াতে যদি কোনো চাপ আসে, সেই চাপ উপেক্ষা করার শক্তি এবং সামর্থ বাংলাদেশ পুলিশের আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত শরীফ। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে বখাটে নয়ন ও তার সহযোগীরা রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।