Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভারতের উজান আর পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা এবং দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকায়। এদিকে ধরলা নদীর তীব্র পানির তোড়ে কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কের সেতুর একাংশ ভেঙে যায়।

পানি বাড়ার ফলে ফুলবাড়ীর বড়ভিটা, রাজারহাটের ছিনাই ও সদরের সারডোব এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র রুপ নিয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ফলে আতংক দেখা দিয়েছে নদী তীরবর্তি এলাকার মানুষের মাঝে। বৃহস্পতিবার ভোরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে শুলকুর বাজারে ধরলা নদীর তীব্র পানির তোড়ে বিকল্প সড়ক সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। এতে করে ৫টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

পাঁচগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কের শুলকুর বাজার এলাকায় ধরলার এই শাখা পয়েন্টে নতুন ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এখানে বিকল্পভাবে দুদিকে মাটি কেটে সেতুর উপর দিয়ে লোকজন ও যানবাহন চলাচল করছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে বিকল্প সড়কের সেতুর দুদিকে ধরলা নদীর তীব্র স্রোতে ভেঙে পড়ায় মানুষ এখন ভোগান্তিতে পড়বে। এই সড়ক দিয়ে পাঁচগাছি, যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগার বিভিন্ন চরের মানুষ চলাচল করে। সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আপাতত মানুষ নৌকায় পারাপার করছে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমীন জানান, গত বুধবার বিকেলে খবর পেয়ে সেখানে পরির্দশন করতে যাই। তখন পর্যন্ত বিকল্প পথটি চলাচল উপযোগী ছিল। এখন সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা ব্রীজ সংলগ্ন পয়েন্টে ৩৭ সে. মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদী ১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্র নদে নুনখাওয়া পয়েন্টে ১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ১ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ