পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের ঝাড়খন্ডে ‘চোর সন্দেহে’ এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ১৮ ঘণ্টা ধরে বেধড়ক মারধরের পর অচেতন হয়ে পড়লে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এর আগে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলতে বাধ্য করা হয় তাকে। নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ার ২৪ বছরের ওই যুবকের নাম তাবরেজ আনসারি। ইতোমধ্যেই ঝাড়খন্ডের খারসাওয়ান এলাকার ওই গণপিটুনির একাধিক ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি তাবরেজকে একটি কাঠের লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর করছে। আক্রান্ত যুবক ছেড়ে দেওয়ার আকুতি নিয়ে হাত জোড় করলেও তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই মারধরকারী উন্মত্ত ব্যক্তির। আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, জোর করে তাবরেজকে বলানো হচ্ছে জয় শ্রীরাম ও জয় হনুমান। অনলাইন মুম্বাই মিরর এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়, জামশেদপুরের খারসাওয়ানন্দ সারাইকেলাতে সন্দেহজনকভাবে স্থানীয়রা রোববার চোর সাব্যস্ত করে ওই যুবককে। তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এরপর তাকে রোববার সকালে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করা হয় জামশেদপুরে টাটা মেইন হাসপাতালে। তার পরিবারের দাবি, তার ওপর যে হামলা হয়েছে তা সাম্প্রদায়িক। তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘জয় হনুমান’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে। পরিবার আরো বলছে, স্থানীয় কিছু মানুষ তাবরেজকে প্রচন্ড মারপিট করে। পরে তাকে তুলে দেয় পুলিশে। চুরির সন্দেহে তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হলেও সে সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার। তাকে মারপিট করা হয়েছে সে একজন মুসলিম বলে। তাবরেজের একজন আত্মীয় মাকসুদ আলম বলেছেন, বার বার তাবরেজকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে দেখতে যেতে চাইলেও আমাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়নি।
ওই হামলার ভিডিও আছে আমাদের কাছে। আমরা চাই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। ওই সময় যেসব পুলিশ সেখানে দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা চাই আমরা। এ বিষয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, উন্মত্ত জনতা তাকে মারধর করছে। এরমধ্যেই তিনি কাতরে বলতে থাকেন, আমার মা মারা গেছেন। তার নামে শপথ করে বলছি, আমি এমন কাজ (চুরি) করিনি। তবে তাবরেজের কথা কেউ শুনতে চায়নি।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, মুম্বাই মিররের এ সংবাদ নতুন নয়। ভারতে গত নির্বাচনের বহু আগে থেকে যে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা কিছু নেতা সৃষ্টি করেছিলেন নির্বাচনের পরেও তা যথারীতি চলছে। এ কথা মনে করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে যে, ওসব নেতার ইঙ্গিত আছে বলেই পরিস্থিতি নির্বাচন চলে যাওয়ার এত পরেও শান্ত না হয়ে দিন দিন বরং আরো উত্তপ্ত হচ্ছে। সনাতন মিডিয়া তো আছেই, বেশি জানা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে। বিশ্বের মানুষ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে জুমার নামাজরত কিছু মুসল্লি হত্যার সংবাদে যেভাবে মর্মাহত ও সোচ্চার হয়েছিল ভারতের বেলায় এর কিছুই হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়া, লন্ডন ও জার্মানিতে পথে চলা হিজাবধারী কোনো নারীকে বিচ্ছিন্নভাবে কোনো বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি গাল-মন্দ বা আঘাত করলে যে পরিমাণ আলোচনা ও নিন্দা জানানো হয় ভারতজুড়ে নিয়মিত হাজার হাজার মুসলমানের মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়ে চললেও কেন জানি বিশ্বের মানুষ মুখে কুলুপ এঁটে রাখে। স্যোশাল মিডিয়ায় দেখবেন কোনো মুসলিম বাড়িতে বজরং দল কিংবা আরএসএস নামধারী যুবকেরা প্রবেশ করে বাড়ির নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে। ঘরের দরজা এঁটে দিনে-দুপুরে শ্লীলতাহানি করছে। ঘরে ঢুকে তরুণীদের শ্লীলতাহানি শুধু নয় এসবের ভিডিও করছে। ঠিক গুজরাতের নৃশংসতার মতো, যেখানে হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল। মুসলিম এমপিকে তার বাসায় গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক গুন্ডারা প্রকাশ্যে রাজপথে মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করে নিজেদের লোক দিয়েই ভিডিও ধারণ করেছিল। আজকের প্রধানমন্ত্রী মোদি তখন গুজরাতের দায়িত্বে ছিলেন। যে পুলিশ কর্মকর্তা গুজরাতের ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে রিপোর্ট দিয়েছিলেন তিনি এখন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
স্যোশাল মিডিয়ায় দেখবেন, একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে নিরীহ একজন দাড়ি-টুপিওয়ালা লোককে সাম্প্রদায়িক যুবকরা চড়-থাপ্পড় মারছে। বলছে- বল, জয় শ্রীরাম। লোকটি প্রাণের ভয়ে জয় শ্রীরাম বললেও কিল, চড় ও গালি থামছে না। অপর এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে সত্তর বছরের এক বৃদ্ধকে এমনভাবে সাম্প্রদায়িক যুবকরা মারধোর করছে যেমনটি মানুষ সন্ত্রাসী ও চোরকেও করে না। একপর্যায়ে রক্তাক্ত ও আহত এ বৃদ্ধকে শূয়রের মাংস খেতে বাধ্য করা হয়।
ত্রিপুরায় সবচেয়ে ধনী মুসলমানের বাড়িটিকে শত শত সাম্প্রদায়িক লোক লুটপাট করে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। প্রতিদিন বহু বাড়ি-ঘর ও দোকান হয় জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে, নয়তো ভেঙে তছনছ করে দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের পরপর ভাইরাল হয়েছিল দু’তিনজন শ্রমিক শ্রেণির লোককে এক জায়গায় বসা অবস্থায় বিজেপির কর্মী আরএসএস এবং বজরঙ্গী ইত্যাদি নামধারী কিছু যুবক আচ্ছা রকম জুতাপেটা, কিল-ঘুষি-লাথি এমনকি লাঠিপেটা করছে। তাদের অপরাধ এসব হতদরিদ্র ভূখা-নাঙা শ্রমিকেরা নাকি গরুর গোশত খেয়েছে। এরকমই আরেকটি ঘটনা মানুষ দেখেছে গাছের সাথে বেঁধে এক মুসলিম যুবককে উগ্র সাম্প্রদায়িক চার-পাঁচজন যুবক লাঠিপেটাসহ কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে চলেছে।
অনলাইনে প্রায়ই দেখা যায় তারাবির নামাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, আজানের মাইক খুলে নেয়া হচ্ছে, মুসলমানদের মসজিদ থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেয়া হচ্ছে। প্রাণের ভয়ে নামাজী মুসলমানরা নিজ নিজ মহল্লায় আতঙ্কিত সময় কাটাচ্ছেন। একটি মসজিদ ভেঙে চুরমার করে ফেলা হচ্ছে। বহু পুরনো গম্বুজ ও মিনারওয়ালা একটি মসজিদে শত শত উগ্র মানুষ ইটপাটকেল ছুঁড়ছে। মুসলমানরা প্রাণের ভয়ে বাড়ি-ঘরে আশ্রয় নিয়ে আধমরা হয়ে আছেন। একটি মসজিদে মুসল্লিরা অবরুদ্ধ বাইরে অল্প কিছু পুলিশ আর চারপাশের মাঠে শত শত নামধারী উগ্র হিন্দুত্ববাদী যুবকেরা হাঁকডাক করছে মসজিদটি গুড়িয়ে দেবে বলে। ঈদের নামাজ চলাকালে তীর-ধনুকের হামলা আর বুকে তীরবিদ্ধ যুবক মুসল্লিদের রক্তমাখা ঈদুল ফিতর দেখেননি এমন ফেইসবুকার বোধহয় নেই।
এখনো প্রায়ই ভারতের প্রত্যন্ত গ্রাম ও মহল্লা থেকে অসংখ্য কিশোরী-তরুণী কণ্ঠের আর্তনাদ ভয়েস রেকর্ডে শোনা যায়, যারা দুনিয়ার মানুষকে ডেকে বলে, আমরা সংখ্যালঘু ও খুবই বিপন্ন ঘরের মেয়ে। প্রতিরাতেই উগ্র সাম্প্রদায়িক গুন্ডারা আমাদের ঘরে আসে। নিয়মিত আমাদের ওপর অত্যাচার চালায়। দুনিয়ায় কি এমন কোনো মানুষ নেই যারা আমাদের নিজের মেয়ে, মা, বোন মনে করে এসবের কোনো প্রতিকার করতে পারেন। অনলাইনে ভারতের সরকারের কিংবা সরকারি দলের কিছু দায়িত্বশীলকে প্রায়ই ভিডিও ক্লিপ বানিয়ে ছাড়তে দেখা যায়, এদেশ হিন্দুর দেশ, মুসলমান এখানে থাকতে পারবে না। ওদের আমরা ধ্বংস করব, তাড়িয়ে দেব ইত্যাদি। এক বড় নেতা ঘোষণা দিয়েছেন, বাবরি মসজিদ ভেঙেছি এবার দিল্লির জামে মসজিদও ভাঙব।
সারা বিশ্বে ১৮০ কোটি মুসলমান এত নিরব কেন? ওআইসি মিটিং ডেকে কোন মুসলিম দেশ অন্য মুসলিম দেশকে হামলা করে ধ্বংস করে দেবে এ ছক কষে দেয়। কিন্তু প্রতিদিন তুষের আগুনে ধুকে ধুকে মরা ভারতের ২৫/৩০ কোটি বিপন্ন মুসলমানের জীবন সঙ্কটের কথা তাদের মিটিংয়ে ওঠে না। ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে ভারত সরকার তাদের হিসাবে ১৮ কোটি মুসলমানের দোহাই দিয়ে পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দেয়ার সুযোগ পায়। মুসলমানদের ওপর সব জুলুমের নিন্দা প্রতিবাদ ও সমালোচনার মুখ তারা বন্ধ করে দেয়। বলে, এসবই ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার!
বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ভারতের কোনো অমানবিক সাম্প্রদায়িক ঘটনার সামান্যতম প্রতিক্রিয়াও বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ এ সমাজে পড়তে দেয় না। যদি কারো অন্তরে সামান্য ইনসাফও থেকে থাকে, যদি তার ভেতর অণু পরিমাণ বিবেকও থেকে থাকে তাহলে সে এ মহা বাস্তবতাটি স্বীকার করবে। পূণ্যবান লোক হলে শুকরিয়া আদায় করবে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রায়ই শোনা যায়, মিথ্যা বিবৃতি, উদ্বেগ ও উল্টো আওয়াজ। এত শান্তি একশ্রেণির লোকের ভালো লাগে না। আত্মবিক্রিত কিছু মিডিয়া ও দালাল সাংবাদিক মুসলমানদের দুঃখ-কষ্টে মোটেও বিচলিত নয়। তাদের ভেতর মনে হয় মানুষের আত্মা নেই। স্বার্থের সওদায় তারা বিবেক বিক্রি করে ভেতরে পশুর আত্মা স্থাপন করে নিয়েছেন। নয়তো মাসের পর মাস ধরে ভারতজুড়ে শুধু মুসলিম হওয়ার অপরাধে মানুষের ওপর যে সাম্প্রদায়িক পশুশক্তি নির্মম ও নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে এরা লিখতেন, প্রচার করতেন, প্রতিবাদ করতেন। এক্ষেত্রে মানবাধিকারের ব্যবসা করে যারা দিনগুজরান করেন সেসব অমানবিক লোকেরাও চোখ, কান, মুখ বন্ধ বানর সেজে আছেন। এদেশীয় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সংগঠন ও নেতৃবৃন্দও কেমন যেন অবকাশ যাপন করছেন। নিজেদের বিষয়ে তারা যেমন সোচ্চার ভারতের অত্যাচারিত লোকগুলি ভিন্ন ধর্মের হওয়ায়ই কি তারা তেমন সোচ্চার হতে পারছেন না?
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কিছু করণীয় অবশ্যই আছে। তারা চিঠিপত্র বা টেলিফোনে হলেও অমানবিক এ বিষয়গুলোতে উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারেন। ভারতীয় মুসলমানদের নিকট প্রতিবেশী বাংলাদেশের ১৫ কোটি মুসলমান কমপক্ষে তাদের মনোকষ্টটি ভারতকে জানাতে পারে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় এর নিন্দা প্রতিবাদ জানাতে পারেন। মিটিং, মিছিল ও ভারতীয় হাই কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান করতে পারেন। যারা নানা পেশায় আছেন আর দমে দমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জিগির তোলেন তারা মিউ মিউ করে হলেও ভারতীয় নেতৃবৃন্দকে বলতে পারেন, অসাম্প্রদায়িকতার মানে কী।
ইসলামি ব্যক্তি, দল, সংগঠন ও তাওহীদি জনতা তাকিয়ে থাকে দেশের স্বনামধন্য ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি। তাদেরও মনে মনে বেদনা অনুভবের চেয়ে সোচ্চার হওয়া বেশি জরুরি। অন্তত ঈমানের দাবিতে হলেও তাদের মুখ খুলতে হবে। মসজিদগুলোতে দল-মত নির্বিশেষে সব নামাজীকে সমবেদনা প্রকাশ করতে হবে। দেশের প্রায় পাঁচ লাখ মসজিদ ও নামাজখানায় ইমাম ও খতিবগণকে এই মারাত্মক জুলুম ও অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। মজলুমের জন্য দোয়া করতে হবে।
ইসলামের নবী সা. বলে গেছেন, যে ব্যক্তি মুসলিম জাতির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব ও মনোযোগ দেয় না সে আমার উম্মত নয়। আল হাদিস। সকল মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এ নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে হবে। এটি সভ্যতার দাবি। মানবতার দাবি। বিবেকের দাবি। আমরা মনে করি, ক্ষুদ্র একটি দার্শনিক নেতৃত্ব ভারতকে এমন উচ্ছৃঙ্খল করে তুলছে। যার পরিণাম তাকেই ভোগ করতে হবে। কেননা গুটি কয়েক দুর্বৃত্ত ছাড়া ভারতের বড় বড় সব রাজনৈতিক দল, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিকগণ, দেশবাসী, বৃহত্তর হিন্দু সমাজ কেউই মুসলিম নিধন, দুর্বলের ওপর জুলুম, গুন্ডামি, ধর্ষণসহ এসব অমানবিক কর্মকান্ডের পক্ষে নন। আমরা এখনো বিশ্বাস করতে চাই, ভারত মানুষের দেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।