Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোরে চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশু চুরির সময় গণধোলাই

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৯, ৩:৫৪ পিএম | আপডেট : ৪:২৯ পিএম, ২১ জুন, ২০১৯

যশোরে সামিয়া আফরিন মুন (৬) নামে এক শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে যশোর শহরের রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। চুরির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া শিশু মুন যশোর রেলস্টেশন সংলগ্ন তুলাতলা এলাকার শাহিনুর রহমানের মেয়ে। আটক ওই ব্যক্তির নাম মামুন হোসেন (৪০)। সে পাবনা জেলা সদরের গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনা প্রসঙ্গে মুনের মা ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘সকালে প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলছিলাম। এসময় মুন পাশেই খেলা করছিল। হঠাৎ দেখি মেয়ে নেই। এরপর মেয়েটিকে খুঁজতে থাকি আমি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রেল স্টেশনে দেখি আমার মেয়ে অপরিচিত এক ব্যাক্তির কোলে কান্নাকাটি করছে। আমার মেয়ের হাতে এসময় চিপসের প্যাকেট, জুস এবং চকলেট ছিল’। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে মেয়েকে উদ্ধার করেন তিনি। এসময় অপরিচিত ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা।
মুনদের প্রতিবেশী জাকির হোসেন জানান, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ওই লোকটি তার নাম ও পরিচয় জানায়। সে কেন মেয়েটিকে নিয়ে যাচ্ছিল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। সেসময় তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়’। এদিকে আটক মামুন শিশু চুরির অপবাদ অস্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়েটিকে দেখে মায়া লেগেছিল। সে কান্নাকাটি করছিল বলে তাকে খাবার কিনে দেই’।
চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মফিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। শিশুটিকে তার মায়ের জিম্মায় দিয়ে মামুনকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে’। যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া বলেন, ‘এখনও তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি। উর্ধতন কর্মকর্তারা এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু চুরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ