পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিয়ের কয়েক বছর পরও সন্তান হয়নি। প্রতিবেশীরা তাকে বন্ধ্যা বলে ডাকে। নিঃসন্তানের এ অপবাদ গোছাতে অবশেষে অন্যের সন্তান চুরি করেন ফরিদা আক্তার নিহা। তবে বেশিক্ষণ শিশুটিকে নিজের কোলে রাখতে পারেননি। পুলিশি অভিযানে উদ্ধারের পর অপহৃত শিশুকে তার মায়ের কালে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাকে যেতে হয়েছে কারাগারে। চার মাস বয়সী আলতাফ হাসান মাহিকে ফিরে পেয়ে পিতা আনোয়ার হোসেন ও মা কামরুন নাহার পুতুলের পরিবারে খুশির বন্যা বইছে। প্রতিবেশির শিশুসন্তান চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ফরিদা আক্তার নিহাকে।
চকবাজার থানার ওসি রুহুল আমীন জানান, বিয়ের কয়েক বছর পার হলেও মা হতে না পারার আক্ষেপ ঘোচাতে প্রতিবেশির সন্তান চুরি করার কথা স্বীকার করেন ওই নারী। রোববার গভীর রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানার খালাসি পুকুর পাড় এলাকা থেকে ছেলে শিশুটিকে উদ্ধার করে চকবাজার থানা পুলিশ। গ্রেফতার ফরিদা আক্তার নিহা নগরীর খালাসী পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা জনৈক মো. রাজুর স্ত্রী। অপহরণের শিকার শিশু আলতাফ হাসান মাহি নগরীর চকবাজার থানার ঘাসিয়াপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন ও কামরুন নাহার পুতুল দম্পতির সন্তান।
ঘাসিয়াপাড়া এলাকায় ইয়াকুব কলোনিতে পাশাপাশি ভাড়া বাসায় দুই বছর ধরে দুই পরিবার বসবাস করে আসছিল। এতে তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাত-আট মাস আগে রাজু ও ফরিদা দম্পতি ঘাসিয়াপাড়া ছেড়ে খালাসী পুকুর পাড়ে বাসা নেন। তবে তাদের মধ্যে যাওয়া-আসা ছিল।
রোববার দিনের কোনো একসময় বাবা-মায়ের অগোচরে আলতাফ হাসান মাহিকে চুরি করে নিয়ে যায় ফরিদা। শিশু সন্তানকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন আনোয়ার হোসেন ও কামরুন নাহার। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে খালাসী পুকুর পাড় এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদা জানিয়েছেন, তিনি নিঃসন্তান। মাহির জন্মের পর থেকে তার বাবা-মাকে হিংসা করতে শুরু করেন ফরিদা। সন্তানের অভাব ঘোচাতে মাহিকে চুরি করেন। চুরির পর মাহিকে ফরিদা তার ভাই শাহীনের কাছে দেন। অভিযানের সময় শাহীনকে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ফরিদা ও শাহীনকে আসামি করা হয়েছে। ফরিদাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।