পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
শরীয়াহ আইনের দাবিতে তারা বিভিন্ন সময় সংঘাতে জড়িয়ে থাকে, কিন্তু দুর্যোগ মোকাবেলার সময় অগ্রভাগে থাকে ইন্দোনেশিয়ার ইসলামপন্থী একটি গ্রæপ। ভূমিকম্পের পর ইসলামিক ডিফেন্ডার্স ফ্রন্টের তাৎক্ষিণক সাহায্য-সহযোগিতা অনেকের মন জয় করলেও সংগঠনটির কার্যক্রম নিয়ে সন্দিহান অনেকে।
পালু এলাকায় ফ্রন্টের সুবিধাভোগীদের একজন ৫০ বছর বয়সি আনওয়ার রাগাউয়া। গত সেপ্টেম্বরে ভূমিকম্পের পর ফ্রন্টের সহযোগিতা পেয়ে বেশ অভিভূত। এখন নিজের বাড়িতে পতাকা টানিয়ে রাখেন তিনি। জঙ্গিবাদে জড়িত হতে পারেন এমন সন্দেহে পুলিশ এসে পতাকাটি নামাতে বললেও শোনেনি তিনি। কারণ হিসাবে রাগাউয়া বলছেন, গ্রামে ভূমিকম্পের পর তিনিই কেবল বেঁচেছিলেন। তখন ফ্রন্টের কর্মীরাই হয়েছে তার একমাত্র অবলম্বন। তারা তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে এবং ত্রাণ দিয়েছে। স্বৈরশাসক সুহার্তোর পতনের জন্ম নেয় ইসলামিক ডিফেন্ডার্স ফ্রন্ট। তার শাসনামলে গণতন্ত্রপন্থী অ্যাক্টিভিস্টদের দমনের জন্য সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় এমন সংগঠনের উদ্ভব হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
ফ্রন্টের মিলিশিয়ারা শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে থাকে। বার কিংবা পতিতালয়ে হামলার ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা।
ইন্দোনেশিয়ার ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২৩টিতে সংগঠনটির শাখা রয়েছে। তাদের সামরিক কায়দার সাংগঠনিক কাঠামো তৃণমূলেও বিস্তৃত। এই সংগঠনের মানবিক সহায়তা প্রদানকারী অংশের নাম রেড ক্রিসেন্ট ইন্দোনেশিয়া। অবশ্য, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
গত বছরের সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রায় এলাকায় সুনামির ধ্বংসকাণ্ডে চার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই দুর্যোগের পর ব্যাপক মাত্রায় ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছিল ইসলামিক ডিফেন্ডার্স ফ্রন্ট।
সরকারি সংস্থার আগেই হতাহতদের উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ, অস্থায়ী থাকার জায়গা এবং মসজিদ নির্মাণ ছিল তাদের ওই কার্যক্রমে। বছরজুড়ে তাদের ফ্রি স্বাস্থ্যসেবাও দরিদ্র জনগণের আস্থার জায়গা।
ইসলামিক ডিফেন্ডার্স ফ্রন্ট দাবি করেছে, পালুতে সুনামির পর তারা ৩৫০ টন ত্রাণ বিতরণ করেছে। তাদের ত্রাণ কার্যক্রম ছিল দ্রুত তৃণমূলে গিয়েছিল। অনেক জায়গায় সরকারিকর্মীদের আগেই উদ্ধার কাজ চালিয়েছিল তারা। এ কারণে সরকারি সংস্থার উপর রুষ্ট হলেও ফ্রন্টের কাজ নিয়ে খুশী হয়েছে সাধারণ মানুষ। সুনামির পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সংগঠনটি। সূত্র : এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।