নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অর্থমন্ত্রী আ,হ,ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট ১৪৮৯ কোটি ১২ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ২১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ১২৭৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ৩১৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতের পরিমাণ ছিল ১১৯৯ কোটি ৩০ লাখ ১৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থ বছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বাজেট এর পরিমান ছিল ১৫১৯ কোটি ২২ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ এবারের প্রস্তাবিত বাজেট গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৩০ কোটি ১০ লাখ ১৭ হাজার টাকা কম।
এছাড়া জাতীয় বাজেটে দেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য নতুন অর্থ বছরে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় বলেন,‘দেশব্যাপী ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জাতীয় ও জেলা/উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান আয়োজনে সরকার ভূমিকা রেখে চলছেন। বিভিন্ন খেলায় প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করে তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে ফুটবলের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অনুকূলে ২০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।’
এই বরাদ্দের বিষয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা এই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আমরা ৩০ কোটি চেয়েছিলাম। বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এই প্রথম জাতীয় বাজেটে ফুটবলের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকছে।’
এবারের বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে সমস্ত প্রকল্প/কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নাটোর ও গাইবান্ধা জেলা সদরে ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মান প্রকল্পের জন্য ৩৮ কোটি টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অনুমোদিত প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত ব্যয় ৪৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা, বিকেএসপির আওতায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য সংশোধিত ব্যয় ২৪ কোটি টাকা, বিকেএসপির প্রমিলা প্রশিক্ষনার্থীদের ক্রীড়ার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, জামালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের উন্নয়ন ব্যয় ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট কমপ্লেক্সের আউটার স্টেডিয়াম এবং মাগুরা বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান আউটার স্টেডিয়াম উন্নয়নসহ জাতির পিতার মুর্যাল স্থাপনের জন্য ১৬ কোটি ১ লাখ টাকা, নেত্রকোনা জেলা সদরে ইনডোর স্টেডিয়াম ও খেলোয়াড়দের জন্য ডরমিটরি ভবন নির্মান এবং বিদ্যমান টেনিস কমপ্লেক্সের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, ঢাকাস্থ পল্টন কাবাডি ও ভলিবল স্টেডিয়ামের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি সহ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ফরিদপুর জেলাস্থ ভাঙ্গা উপজেলা স্টেডিয়াম নির্মান প্রকল্পের জন্য ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, মুন্সিগঞ্জ জেলাস্থ শ্রীনগর উপজেলা স্টেডিয়াম এবং দিনাজপুর জেলাস্থ পার্বতীপুর উপজেলা স্টেডিয়ামের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, ঢাকার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং ঢাকাস্থ ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া উন্নয়ন খাতের অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- ঢাকাস্থ রমনা ও রাজশাহী জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্সের সংষ্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প, মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সের অধিকতর উন্নয়ন।
২০১৯-২০ অর্থবছরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্ততের অধীনে যে বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইল ফর আন্ডার প্রিভিলাইজড রুরাল পিপল অব বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, সাপোর্ট টু ডেভেলপমেন্ট ন্যাশনাল প্ল্যান অফ এ্যাকশন ফর ইমপ্লিমেন্টেশন ন্যাশনাল ইয়ুুথ পলিসি এন্ড ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সের জন্য ৩৯ কোটি টাকা, ৬৪টি জেলায় তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।