বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী দুদু মিয়া (৩৮) গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনকলাপাড়ার গোলপামিয়া পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুদু মিয়া বনকলাপাড়ার ১১২নং বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকতো। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জে। সে স্বেচ্ছাসেকলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অবৈধ ব্যবসা ছাড়াও অভিযোগের অন্ত নেই। এর আগে ধর্ষয় মামলায় র্যার তাকে গ্রেফতারও করে ছিলো।
জানা গেছে- গণপিটুনিতে নিহত দুদু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বনকলাপাড়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। তার অপকর্মের প্রতিবাদের করতে সাহস পেতো না। দীর্ঘদিন থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর অত্যাচারে স্থানীয়রা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছিল। রাতে দুদু মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় চাউর হলে জনমনে অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসে। তার মরদেহ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে গোলপামিয়া পয়েন্ট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে দুদু মিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মোটরসাইকেলে দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বনকলাপাড়া গোলপামিয়া পয়েন্টে আসে। তখন এলাকায় আতংক দেখা দেয়। একপর্যায়ে সাদিয়া টেলিকমের ভেতরে থাকা এক যুবককে সন্ত্রাসীরা কুপ মারতে গেলে স্থানীয়রা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে এগিয়ে যান। তখন সন্ত্রাসীরাও পিছু নেয়। এরই মধ্যে স্থানীয় একটি মসজিদে ঘোষনা দেওয়া হয় এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে।
মাইকে এমন ঘোষনার পর লোকজন বাসা থেকে বেরিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। একপর্যায়ে দুদু মিয়াকে ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
খবর পেয়ে এসএমপি'র এয়ারপোর্ট থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।
ওসি জানান- লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশ থেকে দুদু মিয়ার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এসময় তার সাথে থাকা কয়েকজন পালিয়ে যায়। নিহত দুদু মিয়ার হাতে দেশীয় একটি দা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।