বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেনবাগ উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর ইসমাইল হোসেন মিনু হত্যা প্রধান আসামী নাছির উদ্দিন (৪২)কে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে নোয়াখালীতে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। নাছির উদ্দিন উপজেলার ডমুরুয়া ইউপির পদুয়া গ্রামের লকিয়েত উল্লার ছেলে। এর আগে, বুধবার সকালে একই উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়ের পদুয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নাছিরকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০০৮ সালের ২০ জুলাই গভীর রাতে ইসমাইল হোসেন মিনুকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে খুন করে। পরে তাকে সেনবাগ উপজেলার অর্শ্বদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে এনায়েতপুর গ্রামের বিচুর বাড়ীর গেইটের ছাদে ফেলে রেখে চলে যায়।
সকালে বাড়ীর মালিক বিচু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ঘুম থেকে জেগে দেখে গেইটের ছাদে একটি লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। পরে আশপাশের লোকজন ইসমাইল হোসেন মিনুর লাশ দেখে সেনবাগ থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এর পর ২১ জুলাই নিহতের ভাই ই¯্রাফিল আজাদ নয়ন বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এক বছর তদন্তের পর পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর পর আদালতে পুলিশের দাখিল করা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী নারাজী দিলে আদালত তা গ্রহণ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডি তে প্রেরণ করেন।
সিআইডির এস আই জয়নাল আবদিন দীর্ঘ ১৮ মাস তদন্ত করে ১০ জনকে আসামী করে প্রতিবেদন কোর্টে দাখিল করেন। ওই আসামীদের মধ্যে নাছির উদ্দিন ১ নং আসামী। দীর্ঘ ৯ বছর সে পলাতক ছিল। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খরব পেয়ে তাকে সেনবাগ থানার তার বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান হত্যা মামলার আসামী নাছির গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।