বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদ আনন্দে দুঃসাহসিক এ্যডভেঞ্চারপ্রিয় ট্যুরিস্টদের পদচারণায় মুখরিত সিলেটে শহরতলির খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান। ভয়কে জয় করতে রয়েছে এ্যডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের ভয়ংকর রাইড জিপ লাইন, ট্রি এ্যাকটিভিটিজ। পাশাপাশি রয়েছে স্ব-পরিবারে ৬৭৮.৮০ হেক্টর আয়তনের বিশাল উদ্যানের প্রায় ২১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ৮৩ প্রজাতির বন্য প্রাণী ঘুরে দেখার সুযোগ। সব মিলিয়ে ঈদ আনন্দে খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান এখন ট্যুরিস্টদের পদচারণায় মুখর বলে জানিয়েছেন উদ্যান কর্মকর্তা আব্দুল কাদের। ঘন গাছপালা বেষ্টিত প্রাকৃতিকভাবে তৈরি স্তব্ধ নিরিবিলি এ উদ্যানে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৩ টাকা প্রবেশ মূল্যে পর্যটকরা আরো দেখতে পারবেন ৬টি নয়নাভিরাম চা বাগান, প্রাকৃতিক ছড়া, বোমা ঘর (কথিত আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সে ঘরে সমরাস্ত্র রাখা হতো), সারি সারি নানা প্রজাতির বাঁশ বাগান ও বিট অফিস। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বিশ্রামালয়ে রয়েছে আয়েশের ব্যবস্থা। তাছাড়া রয়েছে ট্যুরিস্ট শপ, পিকনিক স্পট, ইকো কটেজ, রেস্টিং বেঞ্চ, পার্কিং স্থান ও ওয়াশ রুম। তবে খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে প্রধান আকর্ষণ জিপ লাইন। একশত টাকায় টিকিট কেটে চড়তে হয় জিপ লাইনে। যাদের হার্ড দুর্বল তারা ব্যতীত দুঃসাহসিক এ্যডভেঞ্চাররা ভয়ংকর এ রাইডে চড়ে এক অন্যরকম অভিজ্ঞার স্বাদ নিতে পারবেন। এদিকে যারা গহীন ঘন জঙ্গলে যাত্রি যাপন করতে পছন্দ করেণ তাদের জন্য তাবুতে রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। দূর্ঘটনা এড়াতে জিপ লাইন ও ট্রি এ্যাকটিভিটিজ রাইডে পর্যটকদের শরীরে বেল্ট বাঁধা হলেও পর্যাপ্ত নয় বলে দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেন। এছাড়াও বিশাল উদ্যানে নেই কোনো নিরাপত্তা। দল বেঁধে না চললে যেকোনো মুহূর্তে জীব জন্তু আক্রমণ কিংবা দুষ্ট লোকের খপ্পরে পড়ে মোবাইল, টাকা পয়সা হারানোর ভয় রয়েছে। নিরাপদে সবকিছু ঘুরে দেখতে যদিও কর্তৃপক্ষ উদ্যানের গাইড সাথে রাখার পরামর্শ দেন। এদিকে, উদ্যানের প্রবেশের সড়ক ব্যবস্থা নাজুক। দ্রুত সড়কের উন্নয়ন প্রয়োজন। সেই সাথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার। আর জিপ লাইন রাইডের ফি ১০০ টাকা বেশি হয়ে যায়। সেখানে অর্ধেক করার দাবি তোলেন মৌলভীবাজার থেকে আসা পর্যটক সবুজ আহমদ। খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রশাসনিক সহকারী আব্দুল কাদের বলেন, ঈদে এ্যডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকরা মূলত জীববৈচিত্র ভরপুর উদ্যান দেখতে আসছেন। উদ্যানের সড়কে নতুন কালভার্ড স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে। কালভার্ড তৈরি হলে যাতায়াতের আর সমস্যা থাকবে না বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।