Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাসিরনগরে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৯, ২:৫৮ পিএম

গতকাল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলা সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বজলুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচীর আয়োজন করেন উপজেলার ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ। স্মারক লিপির একটি অনুলিপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান তারা। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঘোষপাড়া রমনোরঞ্জম গোপ ও তার ছেলে সুমন গোপ, কামারগাঁও গ্রামের মিহির দেব, উপজেলা সদরের অলিমিয়া ও আলাল মিয়া। মানববন্ধন শেষে ভূক্তভোগী মানুষ সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) বজলুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বজলুল হকের ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্মারক লিপি জমা দিতে গেলে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল কবীরের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেননা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ বিল্লাল মিয়ার কাছে স্মারক লিপি জমা দেন। এর একটি অনুলিপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান তারা।
বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের ভবনে ডিজিটাল সাইবোর্ড রয়েছে- ‘দুর্নীতিমুক্ত উপজেলা প্রশাসন’। অথচ ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় ঘুষ, অনিয়ন ও দুনীর্তি ছাড়া কোনো কাজ হয়না। সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নূন্যতম ২০ হাজার টাকা কোনো জায়গার খারিজ দলিল করেননা। আর কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে তিনি (ভূমিকর্মকর্তা) পাঁচ গুন টাকাআদায়করছেন। অথচ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভূমির খারিজের ফি এক হাজার ১৫০ টাকা। চুড়ান্ত বিএস খতিয়ান আসার পরও দাগে সামান্য ভুল থাকলে ও জমির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন তিনি। টাকা না দিলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কোনো কাজ করেননা এবং কাগজপত্র আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রেখে দেন। বক্তারা বলেন, দুইশত টাকার খাজনার চেকের জন্য তিনি ৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ভিপি জমির নামজারীর জন্য তাকে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়। বক্তারা নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বজলুল হকের বিচার ও শাস্তি দাবির দাবি জানান। তবে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা বজলুল হক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম মাফিক সমস্ত কাজ করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ