যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
গরমে যে শারীরিক সমস্যাগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো পানিশূন্যতা। আবহাওয়া গরম হলে শরীরের পানির পরিমাণ খুব দ্রুত কমে যায়।শরীর থেকে সাধারণত প্রস্রাব, ঘাম এবং মলের মাধ্যমে পানি নির্গত হয়৷আর যখন শরীরের পানির পরিমাণ কমে যায়, তখনই আমাদের ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা হয়
পানিশূন্যতার লক্ষণ
১। অতিরিক্ত পানির পিপাসা লাগা ২। মাথা যন্ত্রণা ৩। মেজাজ খারাপ হওয়া ৪। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়াও ৫। চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া ৬। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ৭। বুক ধড়ফড় করা ৮। প্রসাবের পরিমাণ কমে যাওয়া ৯। প্রসাবের রঙ গাঢ় হলুদ বর্ণের হওয়া ১০। বিভ্রান্তি বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ মানসিক আচরণ ১১। খিঁচুনি কিংবা জ্ঞান হারানো ১২। পেশিতে টান ধরা
পানিশূন্যতার প্রতিকার
১। বাইরে বের হওয়ার সময় পানির বোতল সঙ্গে রাখুন৷ যত বেশি ঘাম হবে তত বেশি পানি পান করুন ২। তাপমাত্রা বেশি থাকলে শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের পরিমাণ কমিয়ে আনুন ৩। বাইরে বের হওয়ার সময়ে হালকা রঙের পোশাক পরুন ৪। একটানা বেশি সময় উষ্ণ এলাকায় থাকবেন না৷ মাঝে মাঝে ছায়ায় কিংবা ফ্যান বা এসির নিচে অবস্থান নিন ৫। গরমের সময় নিয়মিত সরস ফল বা ফলের রস খাওয়ার চেষ্টা করুন ৬। শরীর ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করতে হবে৷ দ্রুত এসি বা ফ্যানের নিচে অবস্থান নেয়া উত্তম ৭। শরীরে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত৷ সম্ভব হলে শরীরে একটু ভেজা তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখলে ভালো হয় ৮। এ সময় আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলুন। ঢিলেঢালা পোশাক যা পরলে শান্তিতে চলাফেরা করতে পারবেন তা পরুন।
ডায়রিয়া কিংবা বমিজনিত ডিহাইড্রেশন অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারন হয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা এবং দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতির কারনও এই ডিহাইড্রেশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।