গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত মুসল্লি জামাতে অংশ নেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত শুরু হয়। এ নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।
ঈদের প্রধান এই জামাতে নামাজ আদায় করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বুধবার সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঈদের নামাজে নানা বয়সী মুসল্লিদের ঢল নামে। সকাল ৭টা থেকেই ঈদের প্রধান এই জামাত জাতীয় ঈদগাহ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। আল্লাহু আকবার তাকবির ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে ঈদগাহ ময়দান।
জাতীয় ঈদগাহে আলাদা ব্যবস্থা থাকায় নারী মুসল্লিরাও ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। সারিবদ্ধভাবে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করেন।
নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতি তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া করেন ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। এসময় আমিন আমিন ধ্বনিতে কান্নায় ভেঙে পড়ে মহান আল্লাহর কাছে জীবনের সকল গোনাহ মাফ চেয়ে ফরিয়াদ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। নামাজ শেষে ধনী-গরিব নির্বিশেষে কোলাকুলি ও মুসাফাহ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।
এদিকে ঈদ জামায়াতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশ এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় ছিলো স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।
এছাড়া র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ছিলো আশপাশ এলাকায়। ফলে মুসল্লিরা নিরাপদে নামাজ আদায় করেন। তবে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে নামাজ আদায় করতে পারেননি বহু মুসল্লি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।