মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইস্টার সানডে’তে শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলায় যুক্ত উগ্রপন্থি গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠার পর ৯ জন মন্ত্রী ও ২ জন প্রাদেশিক গভর্নর সোমবার পদত্যাগ করেছেন। তারা সবাই মুসলিম। পদত্যাগের উদ্দেশ্য, যাতে ওই গ্রুপটির সঙ্গে তাদের কেউ কেউ জড়িত থাকার যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তদন্ত বিঘ্নিত না হয়।
খবরে বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় মোট দুই কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে শতকরা ৯ ভাগ মুসলিম। তাদেরকে সরকার নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হচ্ছে না বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এসব মুসলিম রাজনীতিক। শ্রীলঙ্কায় ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে ১৯ জন মুসলিম এমপি আছেন। তার মধ্যে ৯ জন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য। তারা প্রতিমন্ত্রী ও উপ মন্ত্রীর পদমর্যায়ও রয়েছেন।
পদত্যাগ করে শ্রীলঙ্কা মুসলিম কংগ্রেসের এমপি রউফ হাকিম বলেছেন, যতদিন জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হবে এবং পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনস ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) তদন্ত শেষ না হচ্ছে ততদিন তারা সরকারের ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে রয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ভিক্ষুরাসহ কয়েক হাজার মানুষ চারদিন আগে ক্যান্ডি শহরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেন। ওই প্রতিবাদ থেকে তিনজন মুসলিম নেতাকে বহিষ্কারের দাবি ওঠে সরকারের প্রতি। তাতে বলা হয়, ওই তিন মুসলিম নেতার যোগাযোগ রয়েছে কলম্বোতে ভয়াবহ হামলা চালানো ও বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ন্যাশনাল তওহীদ জামায়াতের (এনটিজে) সঙ্গে। ওই বিক্ষোভের চারদিন পরে মুসলিম এমপি ও গভর্নরা পদত্যাগ করলেন।
অভিযোগ আছে, আইসিসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এনটিজে’কে সমর্থন দিচ্ছেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রিশাথ বাথিয়ুথিন। সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলি জাতিগোষ্ঠী ওই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার জন্য দাবি তুলেছে সরকারের কাছে। মন্ত্রী রিশাথের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিরোধী দল। তবে এনটিজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ও তাদের কর্মকান্ডের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী রিশাথ। এদিকে ইস্টার সানডে হামলার পর সিংহলি সম্প্রদায় মুসলিমদের সহায়সম্পত্তির ওপর আক্রমণ করে। রাজধানীর উত্তরাঞ্চলীয় শহরে এ হামরায় কমপক্ষে একজন মুসলিম নিহত হন। শত শত দোকানপাট, বাড়িঘর, মসজিদ ধ্বংস করা হয়।
ওদিকে সিনিয়র একজন মন্ত্রী কবির হাশিম পদত্যাগের বিষয়ে বলেছেন, তাদের এ সিদ্ধান্তকে তারা একটি দায়িত্বশীল সম্প্রদায়ের কাজ হিসেবে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই দেশে পুনর্জাগরণ এবং শান্তি নিশ্চিত হোক। তিনি আরো জানান, ইস্টার সানডে হামলার পর মুসলিম সম্প্রদায় স্বেচ্ছায় এনটিজে সম্পর্কে স্বেচ্ছায় তথ্য দিয়েছে। কবির হাশিম আরো বলেন, ইস্টার হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশ কিছু নিরীহ মুসলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে মুসলিম সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন। এক্ষেত্রে তিনি পুলিশের যথাযথ তদন্ত দাবি করেন এবং বলেন, যদি সন্ত্রাসী গ্রুপটির কারো যোগসূত্র থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিক্ষোভের জবাবে ওয়েস্টার্ন প্রদেশের গভর্নর আজাদ স্যালি এবং ইস্টার্ন প্রদেশের গভর্নর এমএএলএম হিজবুল্লাহ তাদের পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার হাতে। এ দু’জন গভর্নরই প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার মিত্র। তাদেরকে তিনিই নিয়োগ দিয়েছিলেন। সূত্র ঃ পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।