গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
তিন দফা তল্লাশির পর এবার জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
সোমবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ প্রধান প্রধান ঈদগাহের চার পাশে চেকপোস্ট থাকবে। প্রথমে চেকপোস্টে পুলিশ সবাইকে ফিজিক্যালি তল্লাশি করবে। দ্বিতীয় দফায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি হবে, তৃতীয় দফায় মুসল্লিদের ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের মুখে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এই তিন দফা তল্লাশির মাধ্যমে মুসল্লিদের ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররম প্রস্তুত। ঈদ জামাতের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠ স্ক্যানিং করা হয়েছে। আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ঈদগাহে থাকা ডিএমপির কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হবে।
রাজধানীতে চিরুনী অভিযান চলছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে আমাদের ব্লক রেইড চলছে। যা চলবে। বাস, লঞ্চ টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনে আমাদের পুলিশ কাজ করছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদ জামাতে মুসল্লিরা জায়নামাজ এবং বৃষ্টি থাকলে ছাতা নিয়ে কেবল প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া, আর কিছু সঙ্গে আনা যাবে না। জায়নামাজ ও ছাতা পুলিশ দেখতে চাইলে দেখাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার প্রতিটি ঈদ জামাতে আমাদের নিরাপত্তা থাকবে। যেখানে আমরা আর্চওয়ে দিতে পারবো না, সেখানে পুলিশ ফিজিক্যালি তল্লাশি করবে।’
ঈদগাহে সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে, অথবা ৯৯৯ এ ফোন করে জানানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ঈদ ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশংকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি ও উগ্রবাদীদের হামলার ঘটনা ঘটছে, বাংলাদেশেও এমন হামলার আশঙ্কা রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার তথ্য নেই। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’
রামপুরা ও পল্টনে পুলিশের ওপর হামলাকারীরা শনাক্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘এখনও বলার মতো অগ্রগতি হয়নি। তবে পুলিশের ওপর ককটেল মেরে শত শত পুলিশ সদস্যের মনোবল দুর্বল করা যাবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।