মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত আঠারো শতকের মাঝামাঝিতে হওয়া শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রই কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আসছে। বর্তমানেও যা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশ নিজেদের বেড় করে আনতে পারেনি। এবার সে দিক থেকে বিশ্বের কাছে ব্যতিক্রমী এক উদাহরণ সৃষ্টি করল যুক্তরাজ্য। শিল্প বিপ্লবের প্রয় ২ শতাব্দী পর দেশটি টানা দুই সপ্তাহ কোনো ধরণের কয়লা ব্যবহার না করেই এর বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। যার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে ব্রিটেন অনন্য এক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
বিশ্বে প্রথম শিল্প বিপ্লব চলাকালে ব্রিটেনে সর্বপ্রথম স্টিম ইঞ্জিনের আবির্ভাব হয়। পরবর্তীতে যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনন্য এক গতিশীলতা দেখা দেয়। তবে গত শুক্রবার (৩১ মে) স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১২ নাগাদ এই কয়লা পরিহারের টানা দুই সপ্তাহের ট্র্যাক রেকর্ড অর্জন করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তাদের দাবি, এর মাধ্যমে দেশটি অন্যান্য এই শিল্পেও কয়লার ব্যবহার উল্লেখ জনকভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে সার্বিকভাবেই যুক্তরাজ্যে মোট কয়লার ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে।
এর আগে ১৮৮২ সালে লন্ডনের হলবর্ন এলাকায় সর্বপ্রথম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সাল নাগাদ অবশ্য পরিবেশ দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনে যুক্তরাজ্য। এর অংশ হিসেবে দেশটি তখন উৎপাদিত বিদ্যুতের মাত্র ৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করত এই কয়লা পুড়িয়ে।
শনিবার যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এনার্জি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্র্যাটেজি শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। যেখানে বলা হয়, আগের তুলনায় এবার এটি দেশের জন্য একটি বড় অগ্রগতি। কেননা এ সময়ের মধ্যে দেশের মোট ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয় এসব কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে এরই মধ্যে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রে সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ালে কয়লার চেয়ে অর্ধেক কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরিত হয়। একইসঙ্গে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই অবিশ্বাস্য অগ্রগতি অর্জন করেছে যুক্তরাজ্য।
২০১৮ সাল নাগাদ সৌর এবং বায়ু শক্তি থেকে দেশটির মোট উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৮ শতাংশে চলে এসেছে। বিশেষ করে, গত ১৪ মে দেশটি নিজস্ব চাহিদার ২৫ শতাংশ সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে পূরণ করতে সক্ষম হয়। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে অন্যোন্য এক রেকর্ড বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।