Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছুটির দিনেও ব্যাংক লেনদেন নগদ টাকার সঙ্কট নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

 গ্রাহকদের সুবিধার্থে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল শনিবার সরকারি ছুটির দিনে অধিকাংশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা ছিল। আজ রোববারও এসব শাখা থাকবে।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে এক সার্কুলারে পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধ ও রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার সুবিধার্থে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়। তবে অধিকাংশ ব্যাংকই পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলো খোলা রাখে। এদিকে সাধারণত ঈদের আগে ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের টাকা উত্তোলন বেড়ে যায়। এ সময় অধিকাংশ ব্যাংকের নগদ টাকার সংকটের কারণে কলমানি মার্কেটে সুদের হারও বাড়ে। তবে এবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার লেনদেন বাড়লেও স্বাভাবিক ছিল আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে কলমানির সুদহার। ব্যাংকগুলোর টাকার লেনদেনে সংকট দেখা দিলে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার অর্থাৎ কলমানি মার্কেট থেকে তারা স্বল্পসময়ের জন্য ধার করে থাকে। টাকার চাহিদা বেশি থাকলে ধার করতে হয় বেশি সুদে। আর চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকলে সুদ কম গুনতে হয়।

বিভিন্ন ব্যাংককে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার ঈদবাজারে নগদ টাকার লেনদেনের তেমন কোনো প্রভাব ব্যাংকের ওপরে পড়েনি। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপোর (পুনঃক্রয়চুক্তি) বিপরীতে প্রায় প্রতিদিনই ধার দিয়েছে। ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি ব্যাংককে রেপো ও তারল্য সহায়তা হিসেবে ৬ শতাংশ সুদে ২৮৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ধার দেয়। আগের দিন বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছিল ১৯৯ কোটি টাকা। গত ২২ মে ধার দিয়েছিল ১ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। গত ২০ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিয়েছিল ১ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা।

মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল ব্রাঞ্চের জেনারেল ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ঈদের আগে লেনদেন বেশি হয়, এটা স্বাভাবিক। গত এক সপ্তাহে লেনদেন বেশি হয়েছে। প্রতিদিনই ক্যাশ কাউন্টারে গ্রাহকের ভিড় ছিল। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করেছেন। ঈদে নগদ টাকার সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে ব্যাংকটির এ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের নগদ টাকার কোনো সমস্যা নেই। গ্রাহকের চাহিদা মতো পরিশোধ করছি। এবার কলমানি রেট কম। তার মানে নগদ টাকার সংকট কম বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কয়েকটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, গ্রাহকদের সুবিধার্থে লেনদেন স্বাভাবিক রাখতেই ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলো খোলা রাখা হয়েছে। আজ রোববারও ওইসব শাখা খোলা থাকবে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব ব্যাংক খোলা ছিল এবং লেনদেন চলে সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। একই সঙ্গে আজ সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আর লেনদেন চলবে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে আগে থেকেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধ ও রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার সুবিধার্থে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলা রাখতে হবে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরী, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, টঙ্গী, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তৈরি পোশাক শিল্পের লেনদেন সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো খোলা রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, সাপ্তাহিক ছুটি ও শবে কদর উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ থাকার কথা ছিল। আর ঈদের আগে আগামীকাল সোমবার শেষ ব্যাংকিং লেনদেন হবে। এদিন পূর্ণ দিবস ব্যাংক খোলা থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ