মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত সাত সেনা সদস্যকে আগাম মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমার। ১০ বছরের সাজা হলেও কারাবন্দি হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মাথায় গোপনে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়। সোমবার দুই কারা কর্মকর্তা, দুই সাবেক কারাবন্দি ও এক সেনা সদস্যকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে। অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সামরিক-বৌদ্ধতন্ত্রের প্রচারণায় রাখাইনে ছড়ানো হয়েছে রোহিঙ্গা-বিদ্বেষ। ২০১৭ সালের আগস্টে অভিযান জোরদার করার আগের কয়েক মাসের সেনাপ্রচারণায় সেই বিদ্বেষ জোরালো হয়। এরপর শুরু হয় সেনা-নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণ ও ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করা হয় ৬ লাখ ৯২ হাজার মানুষকে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় গ্রাম ইনদিনে সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীরা ১০ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে। তাদের রাখা হয় গণকবরে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে জানায়,ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেই তদন্তের ভিত্তিতে গত বছরের এপ্রিলে দোষী সাব্যস্ত ৭ সেনাকে কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সোমবার সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সে প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সাজাপ্রাপ্ত ওই সেনা সদস্যরা আগাম মুক্তি পেয়ে গেছেন। ওই সেনা সদস্যদের সঙ্গে কারাগারে ছিলেন এমন সাবেক দুই বন্দি রয়টার্সকে জানান, দোষী সাব্যস্ত সেনা সদস্যরা গত বছরের নভেম্বরে মুক্তি পেয়েছেন। ১০ বছরের কারাদণ্ডের মধ্যে এক বছরেরও কম সময় সাজা ভোগ করেছেন তারা। রাখাইনের সিত্তে কারাগারের প্রধান ওয়াড্রেন উইন নাইং এবং নেপিদোর এক জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ১০ রোহিঙ্গা হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ওই সেনা সদস্যরা কয়েক মাস ধরে কারাগারে নেই।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে নেপিদোর জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনাবাহিনী তাদের (সাজাপ্রাপ্ত সেনাদের) সাজার মেয়াদ কমিয়ে দিয়েছে।’ এ দুই কারা কর্মকর্তার কেউই বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।