Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালতে মামলা করার পর পাল্টা মামলায় সাক্ষী গ্রেফতার

নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাহিমা নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। কথিত আওয়ামী লীগ নেতাদের দাপটে এই নির্দেশকে প্রায় ৬ দিন ফাইল চাপা দেয় পুলিশ। গত শনিবার মামলা রুজু করলেও মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে আহত রহিমাসহ বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হয়রানি শুরু করছে পুলিশ। পিআরবি’র ২৫৪ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ থানায় যাওয়ার সাথে সাথেই সেটি এজাহার হিসেবে গণ্য হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ সেটা যথাসময়ে কার্যকর করেনি। আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে যায়নি।
উপরন্তু গত শনিবার রাতে কাউন্টার মামলায় মুসলিমা নামে বাদী পক্ষের এক সাক্ষীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। এরপর থেকে মামলার বাদী এবং সাক্ষীরা কেউ বাড়িতে থাকতে পারছেনা। এই ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর পলাশ থানায়। আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে এই কাউন্টার মামলা নেয়ার ঘটনা বাদীপক্ষসহ এলাকায় ব্যাপক পুলিশভীতির সৃষ্টি করেছে। গতকাল রোববার সকালে রাহিমা সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা রাহিমাকে মেরে তার শরীরের হাড়গোড় ভেঙে ফেলে। এই ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানোর পর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজল, নয়ন ও রিপনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর কথিত আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দুজন জনপ্রতিনিধি থানায় গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর নির্যাতিতা রাহিমা নরসিংদীর আদালতের শরনাপন্ন হলে আদালত থানায় মামলা নিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু থানা পুলিশ পিআরবি বা পুলিশ রেগুলেশন অমান্য করে প্রায় সপ্তাহকাল নির্দেশটি ফাইল চাপা দিয়ে রাখে। পরে সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে থানা পুলিশ গত ২৫ মে মামলাটি রুজু করে একই দিন রাতে কাজল নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে পলাশ থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে কিছু জানি না। আদালতের নির্দেশ এসে থাকলে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাঁচ দিন পরও আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে তার না জানা কারণ সম্পর্কে ওসি কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ