পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কাশ্মীরের পুলওয়ামার ত্রলে শুক্রবার আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট আনসার ঘাজওয়াত-উল-হিন্দের প্রধান জাকির রশিদ ভাট ওরফে মুসার (২৫) লাশ দাফন করা হয়েছে। দাফন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কর্তৃপক্ষের আরোপ করা বিধিনিধেষের কারণে উপত্যকার বিস্তীর্ণ এলাকা বিশেষ করে দক্ষিণ কাশ্মীর ও রাজধানী শ্রীনগরে কার্ফু জারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ জানায়, মুসার লাশ এনকাউন্টার এলাকার কাছে ত্রলের একটি তিনতলা ভবনে আটকে ছিলো। শুক্রবার সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ওই এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় এবং শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত তা চলে। মুসার হত্যাকাণ্ডকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করে পুলিশ। এনকাউন্টার সাইট থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল ও একটি গ্রেনেড ল্যান্সার উদ্ধার করা হয়েছে। মুসা যে বাড়িতে আশ্রয় নেয় সেটি পুরোপুরি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মুসার জানাজায় অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষ কার্ফু অমান্য করে মুসার নিজ শহর ত্রলের নুরপোরায় জড় হয়। সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মুসার পিতা ছিলেন একজন সিনিয়ার সরকারি অফিসার। তার ভাই ডাক্তার ও এক কোন ব্যাংকার। মুসার মৃত্যুর খবরে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে প্রচণ্ড বিক্ষোভ শুরু হয়। তরুণরা টায়ার পুড়িয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, মুসার নামে শ্লোগান দেয়। কর্তৃপক্ষ পুলওয়ামা, রাজধানী শ্রীনগর ও অনন্তনাগের বড় বড় সড়কে প্রতিবন্ধকতা বসিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেয়। অনেক জায়গায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছিলো বন্ধ এবং সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০১৬ সালে নিহত জঙ্গি কমান্ডার বুরহান ওয়ানির স্থলাভিষিক্ত হন মুসা। কিন্তু অপরেশনের ধরন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়ায় ২০১৭ সালের ১৩ মে হিজবুল মুজাহিদিন ত্যাগ করেন তিনি। নমনীয় পন্থা অবলম্বন ও অনৈসলামিক আচরণের জন্য তিনি হুরিয়াত নেতাদের শাস্তি দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে আল-কায়দার আরবি প্রকাশনায় প্রথম প্রথম মুসার নাম দেখা যায়। পরে মুসার নেতৃত্বে আল-কায়দার কাশ্মীর শাখা ‘আনসার ঘাজওয়াত-উল-হিন্দ’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হয়। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।