মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আরবি সাহিত্যের অধ্যাপিকা তিনি। ওমানের লেখিকা জোকহা আলহার্থি তার বই ‘সেলেস্টিয়াল বডিজ’-এর জন্য এ বারের বুকার পুরস্কার পেলেন। এর আগে আরবি সাহিত্যের কোনও লেখক এই সম্মানে ভ‚ষিত হননি। জোকহার মূল বইটিও আরবিতেই লেখা। ইংরেজিতে তার অনুবাদ করেছেন এক মার্কিন লেখিকা। নাম ম্যারিলিন বুথ। পুরস্কারের পঞ্চাশ হাজার পাউন্ড সমান ভাগাভাগি হবে লেখক এবং অনুবাদকের মধ্যে। লন্ডনে রাউন্ডহাউজে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে আলহার্থির হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
‘আমি অভিভূত এটা ভেবে যে সমৃদ্ধ আরবি সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য একটা জানলা খুলে গেল,’ পুরস্কার ঘোষণার পরে লন্ডনে বললেন খোদ লেখিকা। জোকহার জন্ম ওমানে। আরবি পদ্য নিয়ে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন। এখন মাসকটের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি সাহিত্য পড়ান। গল্পটির অনুবাদক ম্যারিলিনও আমেরিকার শিক্ষাবিদ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি পড়ান তিনি। বছর চল্লিশের জোকহা এর আগে শিশুদের একটি কাহিনি লিখেছেন। লিখেছেন তিনটি উপন্যাসও।
‘সেলেস্টিয়াল বডিজ’ ওমানের আল-আওয়াফি নামে এক গ্রামের তিন বোনের গল্প। তাদের সম্পর্কের গল্প, প্রেম-বিচ্ছেদের গল্প। মায়া, আসমা আর খাওলা নামে এই তিন বোন ওমানের ক্রীতদাস সমাজের বিবর্তন দেখেছেন। প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে আবদুল্লাহ নামে এক যুবককে বিয়ে করেন মায়া। আসমা শুধুমাত্র দায়িত্ববোধ থেকে বিয়ে করেন এক জনকে। আর খাওলা অপেক্ষা করছেন তার প্রেমিকের জন্য। যিনি ঘটনাচক্রে এখন কানাডা চলে গিয়েছেন। লেখিকার কথায়, ‘আমার দেশ ওমান আমায় লেখায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমার বিশ্বাস আন্তর্জাতিক পাঠক এই গল্পের মানবিকতাবোধ, স্বাধীনতার গল্প আর ভালবাসার অনুভ‚তির সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে পারবেন।’
জোকহার লেখার প্রশংসায় ব্রিটেনের পত্র-পত্রিকাগুলি উচ্ছ্বসিত। এক প্রথম সারির ব্রিটিশ দৈনিক লিখেছে, ‘এই গল্প আসলে এমন একটা সাংস্কৃতিক পরিবেশের ছবি তুলে ধরেছে যা পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে একদমই অপরিচিত।’ আর একটি পত্রিকা জোকহা প্রসঙ্গে লিখেছে, ‘এক বলিষ্ঠ সাহিত্যিক প্রতিভার আগমন।’ বইটি প্রসঙ্গে ওই পত্রিকার মন্তব্য, ‘সুপরিকল্পিত ভাবে ঠাস বুনোটে ভরা গল্প।’ লেখিকা নিজে বলেছেন, ‘আমার গল্পে ক্রীতদাস প্রথা ছুঁয়ে গিয়েছি। সাহিত্যের মাধ্যমেই এ সব নিয়ে সবচেয়ে ভাল কথা বলা যায় বলে আমার মনে হয়।’ সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।