Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সঙ্কট নিরসনে পার্লামেন্টে টেরিজা মের নতুন প্রস্তাব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ৪:৩১ পিএম

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের জন্য ব্রেক্সিট ইস্যুতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে পার্লামেন্টে নতুন প্রস্তাব তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। তার এই প্রস্তাবটিকে এরই মধ্যে সমর্থন দিয়েছে তার মন্ত্রিসভা। যেখানে তিনি বিরোধী নেতা লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি কারবিনের প্রতি এই ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের বিষয়ে তার ভোট প্রদানের জন্য আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি এই ব্রেক্সিট চুক্তিতে করবিন ও তার দলের পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন।
যার অংশ হিসেবে গত বুধবার লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকে তার আগের চুক্তি প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমি আজকে দেখিয়েছি যে আমরা ব্রিটিশ জনগণের জন্য এই ব্রেক্সিট ইস্যুতে আপস করতে ইচ্ছুক। তাছাড়া আমরা এই ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরও একটি গণভোট করা হবে কিনা তা নিয়ে আইন প্রণেতাদের ভোট দেওয়ার শর্ত রাখতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী মে বলেছিলেন, ‘ডাব্লুএইচবি হচ্ছে আমাদের জন্য শেষ সুযোগ। আমি আপনাকে আপস করতে বলছি, কেননা এতে দলগুলো আমাদের ঘোষণাপত্রের প্রতিশ্রুতি এবং দেশের রাজনীতিতে বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করতে পারবে।’
বিশ্লেষকদের দাবি, এবার ইইউ ব্রেক্সিট চুক্তির বিলে তাদের সমর্থন দিলে পার্লামেন্টে এ প্রশ্নে আরও একটা গণভোট হবে কিনা ব্রিটিশ আইন প্রণেতারা সে বিষয়ে তাদের ভোট দিতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী মের নতুন এই প্রস্তাবে দেশের সকল শ্রমিকের অধিকার, কর্ম পরিবেশ সুরক্ষার নতুন গ্যারান্টিসহ আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত সাময়িক কাস্টমস ইউনিয়ন নিয়েও আপোষ করা হয়েছে। তাছাড়া আইরিশ ব্যাক স্টপের নানা দিক নিয়েও প্রস্তাবে বর্ণনা করা আছে।
লেবার পার্টির আইন প্রণেতাদের মতে, পার্লামেন্টে উত্থাপিত এই বিলটি নিয়ে আগামী জুনের প্রথম দিকে একটি গণভোট আয়োজন করা হবে। আর সে ভোট ব্যর্থ হওয়া মাত্রই প্রধানমন্ত্রী মে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের জন্য প্রবল চাপে পড়বেন। এর আগে গত সপ্তাহে বিরোধী জোট লেবার পার্টির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর চলতি মাসে পার্লামেন্টে উত্থাপিত নতুন প্রস্তাবের ওপর করবিন তার ভোট দিতে পারেনি।
এ দিকে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির এমপি বরিস জনসন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমাদেরকে কাস্টমস ইউনিয়ন এবং দ্বিতীয় গণভোটের জন্য ভোট দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এই বিলটি সরাসরি আমাদের ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে। যে কারণে আমি এটির জন্য ভোট দেব না। আমরা আরও ভাল কাজ করতে পারব।’
অপর দিকে গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড থেরেসার এই প্রস্তাবের প্রতিও সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনের জন্য এমন একটি ব্রেক্সিট চুক্তির প্রয়োজন যেখানে সবাই আপোষ করতে পারবেন। আর এই চুক্তিটি হচ্ছে তেমনি এক চুক্তি।’
ব্রিটেনের সাবেক শ্রম ও পেনশন বিষয়ক সেক্রেটারি স্টিফেন ক্র্যাবব বলেছেন, ‘আমি মনে করি এবার কোনো গণভোট হবে না। এটা কখনই পাস হবে না। কেননা এর অনেক বিরোধী আছে।’ সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ