বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষের জেরে কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-বরিশালসহ অভ্যন্তরীণ সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। মঙ্গলবার বিকালে পটুয়াখালী বাস র্টামিনালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় রাতে পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতি। পরবর্তী সহিসংতা এড়াতে পটুয়াখালী বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত সোমবার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দূর্নীতিগ্রস্থ উল্লেখ করে একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করে মালিকদের একাংশ। অন্যদিকে চলমান কমিটিকে বৈধ দাবী করে মালিক শ্রমিকদের উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ মৃধা।
বাস মালিক,ও শ্রমিকরা জানান, সোমবার পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির একাংশ মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রিয়াজ মৃধা ও সাধানরন সম্পাদক গোলাম মাওলা দুলু মৃধা বিরুদ্ধে দূর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগে এনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদক অবৈধ। সমিতির কোটি কোটি টাকা লোপাটসহ নির্দিধায় চাঁদাবাজী চালিয়ে আসছেন তারা। এ নিয়ে মালিকরা একাধিকবার প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি।
সভাপতি রিয়াজ মৃধা অভিযোগ করে বলেন মঙ্গলবার বহিরাগতরা সন্ত্রাসী কায়দায় বাস মালিক সমিতির পুরাতন অফিসের তালা ভেঙ্গে কাগজপত্রসহ মালামাল নিয়ে যায়। পরে বিকালে বাস মালিক বাদশা মৃধা, মিজান ওরফে জামাই মিজান,শামীম মৃধাসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে পটুয়াখালী বাস টার্মিনালের কয়েকটি কাউন্টারে হামলা এবং ছিনতাই চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধস্তাধস্তি পরে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্য অন্তত ৮ জন আহত হয়। এদিকে সংর্ঘষের ঘটনায় বাস টার্মিনালে উপস্থিত অসখ্য যাত্রীদের মধ্য আতংক ছড়িয়ে পরে। দিকব্দিক ছুটতে থাকে অগনিত নারী- পুরুষ, শিশু সহ সাধারন যাত্রীরা। খবর পেয়ে পুলিশ কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্যপ্ত পরিস্থি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্স ও হামলা ঘটনার জেরে বর্তমান মালিক সমিতির নেতারা বাস চলাচল বন্ধের ঘোষনা দেয়। ফলে জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া অগনিত যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পরে। বিশেষ করে ইফাতের সময় সংর্ঘষের সুত্রপাত হওয়ায় গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ দেখা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।