পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তি ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে গড়ে ওঠুক সেটিই আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য সব ক্ষেত্রে আমি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কৃষিবিদ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, কবি, সাহিত্যিক, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, ক্রীড়া ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।।
এর আগে বিকেল ৪টা থেকে অতিথিদের গণভবনে প্রবেশের সুযোগ পান। গণভবনের সবুজ লনে বিশাল প্যান্ডেলে অতিথিদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও প্রেস উইংয়ের সদস্যরা আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ইফতার মাহফিলে সমবেত সকল পেশাজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মাহে রমজান মাসে কোনো দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়। আমরা আপনাদের এইটুকু বলব, বাংলাদেশে সবসময় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে, বাংলাদেশের যে উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে তা যেন আমরা অব্যাহত রাখতে পারি। বাংলাদেশের একেবারে গ্রামের মানুষও যেন সুন্দর ও উন্নত-সুস্থ জীবন পায়, সেটিই কামনা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য জাতির পিতা সারাটাজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন সেই স্বাধীনতার সুফলটা যাতে এদেশের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ যাতে ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পায়, শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি পায় উন্নত জীবন পায়, ধ্বংসের মাঝে যেন আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যেন বাংলাদেশ গড়ে ওঠে সে প্রচেষ্টাই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। সেই আস্থা বিশ্বাস রয়েছে। সাধারণ মানুষ আমাদের ওপর যে, আস্থা বিশ্বাস রেখেছে সেটা যেন সবসময় অব্যাহত থাকে। একই সঙ্গে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে জারি পিতার স্বাপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি।
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা পুলিশ, র্যাব এদেশের মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করতে সফল হয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। এখন দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে গড়ে ওঠুক সেটিই আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য সব চেষ্টা আমি চালিয়ে যাচ্ছি। যেন বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থেকে উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকে।
ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিদের উদ্দেশে প্রানমন্ত্রী বলেন, এই প্রচন্ড গরমেও আপনারা গণভবনে এসেছেন। গণভবনের মাটি ধন্য হয়েছে আপনাদের পদার্পণে। সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দোয়া করবেন যেন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলদেশ হিসেবে দেশকে গড়ে তুলতে পারি। এরইমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের মানুষ সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি যেন অব্যাহত থাকে সেই কামনা করি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক তোয়াব খান, কৃষিবিদ ড. মির্জা আবদুল জলিল, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ফুডবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহ উদ্দিন, আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আবদুল বাছেত মজুমদার, অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী আবদুস সবুর প্রমূখ ইফতার মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।