নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন,‘আসন্ন সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসকে সামনে রেখে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের প্রস্তুতির কাজ শুরু করতে পারে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)’। রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)’র বার্ষিক ক্রীড়া উৎসব উদ্বোধন করতে এসে তিনি কথাটি বলেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,‘এসএ গেমস আয়োজন নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। সেটা কেটে গেছে। ইনশাল্লাহ আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে নেপালে বসছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ এই ক্রীড়া আসর। এসএ গেমসকে সামনে রেখে বিওএ ইতোমধ্যে ট্রেনিং ও অংশগ্রহণ খরচ বাবদ ৩৯ কোটি টাকার একটা বাজেট দিয়েছে। আশা করছি খুব শিগরিরই আমরা এটা পাবো। তাই আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি এসএ গেমসের প্রস্তুতি নিয়ে বিওএ কাজ শুরু করতে পারে। কারণ টাকা অবশ্যই তারা পাবে।’
বেশ কিছুদিন অনিশ্চিয়তায় মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত নেপালেই বসছে এসএ গেমসের ১৩তম আসর। ইতোমধ্যে গেমসের লোগো ও মাসকট উম্মোচন হয়ে গেছে। তাই এখন নিশ্চিতভাবে বলা যায় আগামী ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমসের খেলা। এই হিসেবে গেমস শুরু বাকি প্রায় ৬ মাস। কিন্তু এখনো গেমসের প্রস্তুতি শুরু করেনি বাংলাদেশ। মূলত: টাকার কারণেই লাল-সবুজদের প্রস্তুতি শুরু হয়নি। এসএ গেমসের প্রস্তুতি ও অংশগ্রহণের খরচ চালাতে বিওএ সরকারের কাছে ৩৯ কোটি টাকা চেয়েছে। যা এখনো তাদের হাতে আসেনি। ফলে শুরু করা যায়নি বিভিন্ন ক্রীড়া ডিসিপ্লিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পও। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি শুরু না হলেও কয়েকটি ফেডারেশন নিজেদের খরচায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিওএ’র উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু বলেন, ‘নিজেদের উদ্যোগে শ্যুটিং, আরচ্যারি, ভলিবল ও সাঁতার ডিসিপ্লিন এসএ গেমসের প্রস্তুতি শুরু করেছে বেশ কিছুদিন আগে। আমরা সবগুলো ডিসিপ্লিনের প্রস্তুতি শুরুর জন্য সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছি। যা হাতে পেলেই পুরোদমে কাজে নেমে পড়বো।’
রোববার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আরো জানান, এসএ গেমস নিয়ে নাকি তিনি ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথায়, ‘যখন লোগো ও মাসকট উম্মোচনের মধ্যে দিয়ে ১৩তম এসএ গেমস আয়োজন নিশ্চিত হলো তখনই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তা জানিয়েছি। এ ছাড়া বিওএ’র সভাপতি, মহাসচিব ও আমি নিজে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাকে আমরা আমাদের প্রয়োজনের কথা জানিয়েছি। আশাকরি সব হয়ে যাবে। তবে এখন এমন একটা সময়, ঠিক নতুন একটা বাজেটের পূর্ব মুহূর্ত। এমন সময় অর্থ ছাড় করাটা মুশকিল। বাজেটের পর অবশ্যই এ অর্থ ছাড় হবে।’
অর্থ বরাদ্দের আগেই প্রস্তুতি শুরু করার যে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, তাতে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছে না বিওএ। এ প্রসঙ্গে উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকুর কথা, ‘টাকা না পাওয়া পর্যন্ত অনুশীলন করা মুশকিল। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না। বিওএ আগে এভাবে অনুশীলন শুরু করে শেষ পর্যন্ত টাকা পায়নি। তাই অর্থ বরাদ্দের আগে অনুশীলন শুরু করা হবে কিনা তা একমাত্র ভালো বলতে পারবেন আমাদের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।