নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এ বছরেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ক্যাম্প থাকার কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি কারাতেকা হুমায়রা আক্তার অন্তরা। কিন্তু তাতে কোন দু:খবোধ নেই তার। কারণ এবারের এসএ গেমস বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম পদকটিই জিতেছেন তিনি। সোমবার সাতদোবাদোতে নারীদের একক কাতায় ব্রোঞ্জ জিতে দেশের ঝুলিতে প্রথম পদক পুরলেন তিনি। পদক জেতার পর অন্তরা বলেন, ‘আমার খুবই ভালো লাগছে। এই আনন্দ বলে বুঝানো যাবে না। কারণ এই গেমসে দেশকে আমিই প্রথম পদক এনে দিলাম। তবে লড়াইয়ে নেমে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারিনি। আত্মবিশ্বাস ছিল পদক জিতবো। তবে একটু নার্ভাস ছিলাম। পা পিছলে যাওয়ায় স্বর্ণের জন্য লড়াই করতে পারিনি।’
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পড়ার সময়েই এনএসসিতে কারাতে দেখতে আসতেন হুমায়রা। দেখতে দেখতেই খেলার আগ্রহ জন্মে। তাই ছোটবোন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমিকে নিয়ে শিখতে চলে আসেন কারাতে। এরপরই জড়িয়ে পড়েন কারাতের সঙ্গে। তিনি আরো বলেন, ‘অন্যদের কাছে আমি এসএ গেমসের গল্প শুনেছি। এখানে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ থাকে এটাও জেনেছি। দেশের পতাকা ধরার সুযোগও থাকে। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকেই কারাতে খেলতে চলে আসি। তাছাড়াও মার্শাল আর্ট মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন। এ দুই কারণেই আমি কারাতেতে এসেছি।’
পরিবার নিয়ে অন্তরারা চার বোন। ছোট বোন সুমিকে নিয়ে তিনি সব সময় কারাতে খেলতে আসেন। পড়াশোনার কারণে সুমি খেলা ছেড়ে চলে গেছে।
নিজ ক্যারিয়ার নিয়ে অন্তরা বলেন, ‘এ বছর আমার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা ছিল। কিন্তু এসএ গেমসের ক্যাম্পে থাকায় পরীক্ষা দিতে পারিনি। চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছাকে আপাতত বাদ দিতে হয়েছে। আমি এই পদকটি আমার পরিবার ও কোচদের উৎসর্গ করছি।’ মঙ্গলবার ৬৩ কেজিতে কুমিতে খেলবেন অন্তরা। এই ইভেন্টে তিনি সোনা জিতবেন বলে আশা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।