Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গরমে ঘামাচি প্রতিরোধ

ডাঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

গরমে নিয়মিত গোসল করা দরকার। এসময়ে অস্বস্তি , ঘাম ও ঘামাচি , পানিশূন্যতা থেকে ঘন ঘন পিপাসা , ক্লান্তি , গায়ে দুর্গন্ধ , রাতে ঘুম না আসা ইত্যাদি বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে ।

গরমে প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি নিয়মিত সাবান সহ গোসল করলে ও ঠান্ডা পরিবেশে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিলে এগুলোর অনেক কিছু থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় । সুযোগ থাকলে পুকুরের পানিতে বা সুইমিং পুলে গোসল করতে পারলে অনেক ভালো । অল্পতেই শরীর ভালভাবে পরিষ্কার ও ঠান্ডা হয় । ভোরের পানি শীতল থাকে । তাই গোসলের শীতল পরশ পেতে হলে এসময়টা বেছে নেওয়া যায় । রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে আরেকবার গোসল করতে পারলে ভালো ঘুম হয় এবং তা শরীরের জন্যও ভালো । গরমে গোসল করলে অল্পতেই অনেকটা ক্লান্তি দূর হয়ে যায় , চামড়া পরিষ্কার থাকে , ঘামাচি সহ বিভিন্ন চর্ম সমস্যা প্রতিহত হয় , পানিশূন্যতা কমে গিয়ে চামড়ায় সৌন্দর্য বাড়ে , চুল পড়া কমে ও ভালো ঘুম হয় ।
ঘামাচি প্রতিরোধের জন্য দরকার – সুতির হাল্কা রঙের আরামদায়ক পোশাক পড়া , প্রয়োজনে একাধিকবার পরিচ্ছন্ন ঠান্ডা গোসল , কায়িক শ্রম যথাসম্ভব কম করা ও শীতল পরিবেশে সময় কাটানো। এ ব্যাপারে ইলেকট্রিক ফ্যানের বাতাস অনেকটা সময় আমাদের সঙ্গী হিসেবেই থাকে ।
সামান্য সাবান সহ গোসল করতে পারলে চামড়ায় ঘাম ও ময়লার প্রলেপ উঠে গিয়ে ঘামাচির বিরক্তিকর সমস্যা অনেকটা হ্রাস পায় । ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যালকম পাউডার , ক্যালামিন লোশান ও স্টেরয়েড ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে । এসি রুমে কয়েক রাত কাটাতে পারলে ঘামাচি অনেকটা উপশম হয় ।
গরমে নবজাতক বা ছোট শিশুদের খুব সহজেই ঘামাচি হতে পারে । এসময়ে তাদের বাসার ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে থাকা দরকার । তাছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল, গায়ে হাল্কা সুতির কাপড় , প্রয়োজনীয় দুধ বা পানি পান , চামড়া শুকনো রাখা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যাপারে যতœবান হওয়া উচিত ।

মোবাইল: ০১৮২৮৬০৪৯৬৩



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন