বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে সরকারি খাস জমিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের জায়গায় ভুয়া দলিল দিয়ে মামলার মাধ্যমে মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি এই জটিলতা সৃষ্টি করেন।
গতকাল শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর ডিগ্রী কলেজ ঘাঘট নদীর ব্রিজের পার্শ্বে ৫৮ শতাংশ সরকারি খাস জমিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক ২০১৪-১৫ অর্থবছরে উপজেলা প্রশাসন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ৮ লক্ষ টাকার মাটি ভরাট করেন। গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সাদুল্লাপুর মৌজার ৭০৫ দাগে মাটি ভরাটের স্থানে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় গৃহ, ল্যাট্রিন, রান্নাঘর, নলকূপ স্থাপনের জন্য ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর (যাহার চেক নং সিডিপি ২৩৫৮৫৩) ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে।
সরকারের বেঁধে দেওয়া শর্ত সাপেক্ষে ১.১৬ একর জমির মধ্যে থেকে ৫৮ শতাংশ জমি কবুলিয়ত গ্রহণ করেন জামালপুর ইউনিয়নের হামিন্দপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে নবিবর উদ্দিন। কিন্তু বিধি ভঙ্গ করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ১.১৬ একর জমি বিক্রি করেন। কাজ শুরুর পূর্বে ভুমি অফিসের অসৎ কর্মচারীদের যোগসাজসে শর্ত অমান্যকারী কবুলিয়ত প্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট থেকে ভুয়া প্রাপ্ত মালিক মোজাম্মেল হক সরকারের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা আদালতে ৮৩/১৮ মামলা দায়ের করেন। ১৯৪০ সাল হইতে বর্তমান সময় পর্যন্ত সরকারের পক্ষে সকল কাগজপএ সঠিক রয়েছে।
কিন্তু তাসত্ত্বেও অবৈধ দলিল দিয়ে মিথ্যা মামলাটি সরকার পক্ষের নজরদারির অভাবে একতরফা আদেশের জন্য আছে। দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি ব্যবস্থা করে ঐ স্থানে গুচ্ছগ্রাম নির্মান হলে জনবান্ধব সরকারের ভাবমূর্তি বাড়বে।এদিকে প্রশাসনের গড়িমসির কারনে মামলার আজুহাত দেখিয়ে বরাদ্দকৃত ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা গত বছরের ১০ মে ফেরত পাঠায়।
এদিকে পার্শ্ববর্তী নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার অসহায় গৃহহারা হালিমা, মন্জিলা, নুরন্নাহার, আতিকসহ একাধিক ব্যক্তি গুচ্ছগ্রামে ঘর পাওয়ার আশায় তীর্থেও পাখির মত পথ চেয়ে বসে আছে। এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, মাটি ভরাটকৃত জায়গায় গুচ্ছগ্রাম নির্মান হলে কিছু অসহায় ব্যক্তির মাথা গোজার ঠাঁই পাবে। সাদুল্লাপুর সদর বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন সরকার জানান, আশ্রয়হীন গরীব মানুষদের থাকার ব্যবস্থার জন্য গুচ্ছগ্রাম নির্মান জরুরী প্রয়োজন ।
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহারিয়ার খাঁন বিপ্লব জানান, পূর্বের চেয়ারম্যানেরা কি করেছে তা জানি না। কিন্তু বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত গিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।