Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাহরিতে ঘুম ভাঙ্গাবে যুদ্ধবিমান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

রমজান মাসে এলাকায় এলাকায় মাইক দিয়ে, টিনের ড্রাম বাজিয়ে কিংবা চোঙ্গা ফুঁকে রোজাদারদের ঘুম থেকে সেহরির খাবার খেতে ডেকে তোলার রেওয়াজের সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু এসবের বদলে যুদ্ধবিমানে তুমুল শব্দ তুলে মানুষকে ডেকে তোলা হচ্ছে সেহরি খাওয়ার জন্য! না, আমাদের দেশে এ রকম করা না হলেও ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনী এটিই করতে চলেছে। বুধবার ইন্দোনেশিয়ার ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য জাকার্তা পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। স¤প্রতি দেশটির বিমানবাহিনী জানায়, রমজান মাসে সেহরির সময় রোজাদারদের ডেকে তোলার যে রীতি দেশটিতে আছে, তাতে এবারে তারাও যোগ দিতে যাচ্ছে। বিমানবাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে জানানো হয়, সেহরির সময় দেশটির জাভা দ্বীপের সুরাবায়া, সুরাকার্তা, ক্লাতেন, স্রাজেন ও ইয়োগইয়াকার্তায় বিমানবাহিনী পাইলটদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে। পোস্টে লেখা হয়, ‘আল্লাহ চায় তো আমরা রোজাদারদের রেওয়াজ অনুসারে সেহরির সময় ডেকে তুলতে যুদ্ধবিমান কাজে লাগাব।’ এ ব্যাপারে পৃথকভাবে বিমানবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সুস এম ইয়ুরিস জানান, এ উদ্যোগ নিছকই সেহরিকালীন মুসল্লিদের ডাকার রেওয়াজের জন্যই নয়, বরং রোজা থাকা অবস্থায় পাইলটদের যাতে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে না হয়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের জন্য যথার্থ সময় হচ্ছে ভোর। দিনে অভুক্ত থাকলে বিশেষজ্ঞরা সাধারণত সকাল ১০টার পরে প্রশিক্ষণকে নিরুৎসাহিত করে। কেননা, এ সময় থেকেই অভুক্তদের সুগার লেভেল নেমে যেতে থাকে। এ প্রসঙ্গ ধরে কর্নেল সুস বলেন, ‘বøাড সুগার লেভেল কম থাকা অবস্থায় পাইলটদের যুদ্ধবিমান চালানোর ব্যাপারে বাধানিষেধ আছে।’ এটি একই সঙ্গে ওই সময়ে পাইলটদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও রোজাদারদের সেহরির খাবার খেতে ডেকে তোলার জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে বলেন তিনি। এর অংশ হিসেবে আকাশের নিম্ন স্তরে উড্ডয়নে সক্ষম যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে যাতে মানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট শব্দ তৈরি হয়, সে জন্য গ্রহণ করা হবে বিশেষ যান্ত্রিক ব্যবস্থা। জাকার্তা পোস্ট।

 

 



 

Show all comments
  • Harun Rana ১০ মে, ২০১৯, ১:২৪ এএম says : 0
    খুবই সুন্দর উদ্যোগ। আমাদের দেশেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • গণি মিয়া ১০ মে, ২০১৯, ১:২৪ এএম says : 0
    ইন্দোনেশিয়ার ওপর আল্লাহ রহমত নাজিল করুন।অামিন
    Total Reply(0) Reply
  • জয়নাল হাজারি ১০ মে, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
    ইসলামের প্রতি কী ভালোবাসা সেনাবাহিনীর। ইস, এরকম সেনাবাহিনী যদি আমাদের থাকতো।
    Total Reply(0) Reply
  • মাহমুদুল হাসান রাশদী ১০ মে, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
    দারুন উদ্যোগ। মহড়ার কাজও হলো সেহরিতে মানুষকে ডেকে তোলাও হলো।
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম ১০ মে, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
    আল্লাহ তুমি ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীকে তোমার দ্বীনের জন্য কবুল করে নাও।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃমনিরুজ্জামান ১০ মে, ২০১৯, ৪:৪৭ এএম says : 0
    ইন্দ্রোনেশীয়ার প্রেসিডেন্টকে আল্লাহ দীর্ঘ হায়াত ও সৎ সাহস দিন আমীন৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুদ্ধবিমান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ