পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) ২৬ বছরে পদার্পণ করলো। মহান জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর এ বিশ্ববিদ্যালয় (Bangladesh Open University) যাত্রা শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধোত্তরকালে টেকসই ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার লক্ষ্যে নব উদ্যোমে কাজ শুরু করেছিল বাউবি। দেশের লাখো শিক্ষার্থীর জন্য কাজের পাশাপাশি পড়াশুনা করে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ করে দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। বাউবি থেকে এ পর্যন্ত ২২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী তাদের কাক্সিক্ষত শিক্ষা সমাপ্ত করেছে। এক কথায়, শিক্ষার সুযোগ ও সুবিধাবঞ্চিত নানা শ্রেণি-পেশায় নিয়োজিত মানুষকে বাংলাদেশের শিক্ষা ও উন্নয়নে যুক্ত করে টেকসই উন্নয়নের ধারাকে প্রণোদিত করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাউবি’র বিকল্প বাংলাদেশে নেই।
বর্তমানে প্রায় একশত পঞ্চাশ জন শিক্ষক বাউবিতে কর্মরত। ছয়টি শিক্ষা অনুষদ বা স্কুল এর মাধ্যমে পিএইচডি, এম.ফিল, মাস্টার্স, ব্যাচেলর, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম (বিএ, বিবিএ, এমবিএ, বিএজিএড, সিএসই ইত্যাদি প্রোগ্রাম) মিলিয়ে ৫৩টি আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। দেশব্যাপী ২৫০০০ হাজারের অধিক খন্ডকালীন শিক্ষক বিভিন্ন পর্যায়ের এই শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে নিবিঢ়ভাবে সম্পৃক্ত। ২০১৬ সালে গবেষণা ডিগ্রি অর্থাৎ এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের যাত্রা শুরু হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ৮০টি উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের অধীন ৬ লাখের মত শিক্ষার্থী বাউবি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে।
শুরুতে বাউবি’র শিক্ষকরা শুধুমাত্র পাঠসামগ্রী লেখা এবং জাতীয় প্রচারমাধ্যমে (বেতার ও টেলিভিশন) টিউটোরিয়াল ক্লাশের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের, উচ্চতর গবেষণা এবং শিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগের অভাবে বাউবি’র শিক্ষকরা তাঁদের মেধাকে বিকাশিত করে সম-সাময়িক গবেষণা ও শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছিল না। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে মানের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন তা অর্জন না করার কারণে হতাশাগ্রস্থ এবং অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। বলা হয়ে থাকে, একটি ভাল বা সুস্থ বীজ যদি পাথরের উপর পড়ে তবে তা মরে যায় কারণ তা অঙ্কুরোদগমের জন্য ভালো পরিবেশ পায় না। বর্তমানে বাউবি’তে দূরশিক্ষণ ও ক্লাশরুম (Face to Face)) দুটি পদ্ধতিতেই শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে, বাউবিতে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে নবমাত্রিকতা এসেছে।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ভর করে না সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর কতজন ছাত্র পাশ করে তার ওপর। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ভর করে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কী মানের গবেষণা করা হয তার ওপর। যে দেশ গবেষণায় যত উন্নত, অর্থনৈতিকভাবেও সেই দেশ তত সমৃদ্ধ। কেননা, টেকসই উন্নয়নে গবেষণাভিত্তিক জ্ঞানের কোন বিকল্প নাই। বিশ্ববিদ্যালয় হলো গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনের স্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যেমন মৌলিক গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত হতে হবে তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও গবেষক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। একজন ছাত্রকে যদি গবেষণা বা ব্যবহারিক জ্ঞান ছাড়াই উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করা হয় তাহলে সেই ছাত্রের বাস্তব ক্ষেত্রে আশানুরূপ সফলতা অর্জন করার সম্ভাবনা কম। একটি দেশকে উন্নতর করতে হলে গবেষণালব্ধ জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগ প্রয়োজন। শুধু ধার করা জ্ঞান দিয়ে একটি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষকদের সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের, উচ্চতর মৌলিক গবেষণা ও উচ্চতর শিক্ষা কার্যক্রমের মারাত্মক অভাব ছিল। সেই অর্থে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত স্বাদ থেকে বঞ্চিত ছিল বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়। বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম এ মাননান বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় রূপে গড়ে তুলতে সচেষ্ট রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত স্বাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে On Campus অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল এবং পিএইচ.ডি প্রোগ্রাম। শিক্ষকরা সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সুযোগ পাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত উন্নতমানের গবেষণাগার। উচ্চতর গবেষণার জন্য প্রায় প্রত্যেক শিক্ষককে দেয়া হয়েছে গবেষণা প্রকল্প। ব্যবহারিক এবং গবেষণার জন্য ছাত্র এবং শিক্ষকরা এই আধুনিক গবেষণাগারগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে। বৃদ্ধি করা হয়েছে গবেষণাগারের জন্য নতুন নতুন আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের এবং গবেষণা প্রকল্পের বাজেট। উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র গত অর্থবছরেই (২০১৭-১৮) বাউবি’র শিক্ষকদের উচ্চতর গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল দেড় কোটি টাকা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনেরও গবেষণ প্রকল্পের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ ছিল। এতে করে, শিক্ষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন উচ্চতর গবেষণা ও শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রমে।
বাউবি’তে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং গবেষণাগারগুলোর অবকাঠামোগত কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বাউবি’র গবেষণাগারগুলোতে যে বিশ্বমানের গবেষণা হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ এই গবেষণাগারগুলোতে যে সমস্ত গবেষক গবেষণা করবেন তাঁরা আন্তর্জাতিক খ্যতিসম্পন্ন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হলো- ড. মো. শাহ আলম সরকার [PhD (Monbnsho scholar) and Post Doctoral Receach Fellow (Tokyo
University of Fisheries, Japan)]; ড. মো. রকিবুর রহমান [PhD (Monbnsho scholar: Okayama University, Japan)];; ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম [[PhD (University of Science and Technology, South Korea) and Humboldt Post Doctoral Reseasch Fellow (Georg August University,
Germany)];]; ড. মোসাঃ শিরিন সুলতানা [[PhD (Huazhong Agricultural University,]। উল্লিখিত গবেষকদের গবেষণা কাজ পৃথিবীর বিভিন্ন High Inpact Factor Journal-এ প্রকাশিত হয়েছে এবং সঙ্গতই তাঁরা আন্তর্জাতিক গবেষক সম্প্রদায় (International Scientific Community)-এর নিকট পরিচিত।
যেহেতু শ্রেণি পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বাউবি’তে, সেহেতু আমরা মনে করি, বাউবি’র বিদ্যমান অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করেই একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ^বিদ্যালয়ের চাহিদা পূরণ সম্ভব। এতে করে অন-ক্যাম্পাস এবং দূরশিক্ষণ উভয় পদ্ধতিই সমভাবে লাভবান হবে। কারণ নতুন প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে যেখানে যোগ্য শিক্ষকের অভাব এবং অবকাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে, সেখানে বাউবি’তে ৬টি অনুষদে ১৫০ জন যোগ্য শিক্ষকের সরাসরি শিক্ষাদানে ছাত্র-ছাত্রীরাও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠত। এটি করতে বিদ্যমান অবকাঠামোর সাথে ২/১টি মাল্টিস্টোরিয়েড একাডেমিক বিল্ডিং তৈরি করাই যথেষ্ট। ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করলে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী নতুন একটি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে যেমন পড়ার সুযোগ পাবে, তেমনি সরকারও অনেকটা প্রস্তুতকৃত অবস্থাতেই, অর্থাৎ বিনা খরচেই একটি অতিরিক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাবে। বলা যায়, It would be the priceless gift to the nation. অনেকেই ভাবতে পারেন, এতে দূরশিক্ষণ পাঠদান ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি তেমনটা ঘটবে না। কারণ ইতোমধেই বাউবিতে দূরশিক্ষণের একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি হয়েছে। প্রশাসনকে একটু ঢেলে সাজালেই দূরশিক্ষণ এবং অন-ক্যাম্পাস উভয় পদ্ধতিতেই বিশ^বিদ্যালয়টিকে সত্যিকার অর্থেই শিক্ষক-ছাত্রের মিলনকেন্দ্রে পরিণত করা সম্ভব।
সম্প্রতি বাউবিতে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের উপর গবেষণা করার লক্ষ্যে ফেলোশিফ প্রোগ্রামও চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি ফ্যাকালটি ডেভেলপমেন্টের লক্ষ্যে বর্তমান উপাচার্যের প্রত্যক্ষ পৃষ্টপোষকতায় বাউবির শিক্ষকদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কসপ ও গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাউবি এখন দেশের সীমানার বাইরেও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অচিরেই চালু হবে আরব আমিরাতে। এরপর এই শিক্ষা কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হবে মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে রয়েছে লক্ষ লক্ষ প্রবাসী কর্মী।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান হলো গৌণ, নতুন শিক্ষা উদ্ভাবন হলো মুখ্য’- কথাগুলো আমাদের নয়, বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর এটি গবেষণার মাধ্যমেই সম্ভব। প্রশ্ন হলো, গবেষণার কাজটি এককভাবে করলে ফলপ্রসু হবে নাকি গ্রুপ বা দলভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল আরো ফলপ্রসু হবে? আমরা মনে করি, বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা একত্রে কাজ করলে ভিন্ন ভিন্ন ধারণার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বড় আবিষ্কার বা উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে। এই গ্রুপভিত্তিক গবেষণার কাজটি সম্পূর্ণ হতে পারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের/অনুষদের শিক্ষক ও গবেষকদের সমন্বয়ে এবং এর সাথে যুক্ত হতে পারে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়/গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গবেষকগণ।
উন্নত বিশ্বে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে গবেষণা করে থাকে। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে অনুপস্থিত, যা শুরু করা একান্ত প্রয়োজন। বাউবি তার গবেষণার মানকে উন্নত করার জন্য দেশি বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোম্পানির সাথে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে গবেষণা কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিতে পারে। এতে গবেষণাগুলো যেমন ভিন্নমাত্রা পাবে, তেমনি গবেষণার সফলতার হার ও মান দুটোই বৃদ্ধি পাবে।
সেইদিন বেশি দূরে নেই যেদিন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের উচ্চতর গবেষণা কার্যক্রম দিয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলবে। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর গবেষণা ও শিক্ষায় এক নতুন দিগন্তে পদার্পণ করেছে।
লেখকদ্বয়: অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।