মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির কাছে অবস্থিত একটি কারাগারে গোলাগুলির ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত সাত বন্দি। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০ জন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকালে কারাগারের দুইজন বন্দির মধ্যে প্রথমে মারামারি শুরু হয়। পরবর্তীতে তা পুরো কারাগার চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সেখানে প্রায় চার হাজারের মতো কয়েদি আছে।
কারাগারটির রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত মুখপাত্র কার্লোস মোরালস বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে আমরা জানতে পেরেছি; এ দিন বিকালে মাদক নিয়ে দুই বন্দির মধ্যে প্রথমে মারামারি শুরু হয়। পরে তা ব্যাপক আকারে গোটা কারাগার চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারারক্ষীরা গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।’
কার্লোস মোরালস এও বলেছিলেন, ‘এ ঘটনার পর টানা আট ঘণ্টা কারাগারটির নিয়ন্ত্রণ সেই বন্দিদের হাতে ছিল। যদিও পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ফলে ধীরে ধীরে সেখানকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কারা কর্তৃপক্ষের হাতে চলে আসে।’
এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলমান সহিংসতা বন্ধে কারাগারটিতে তখন অতিরিক্ত প্রায় দেড় হাজারের বেশি সেনা ও পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়। পরবর্তীতে তারা কারাগারটিতে প্রবেশ করে এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
অপরদিকে কারাগারের সর্বশেষ পরিস্থিতি বর্ণনা করে শহরটির ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র মারিও ক্রুজ বলেছেন, ‘প্রায় দুই দিন যাবত চলা এই সহিংসতার আমরা এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তাছাড়া আরও প্রায় বেশকিছু বন্দি আহত হওয়ার খবরও আমাদের হাতে আছে।’
ফায়ার সার্ভিসের এ মুখপাত্র আরও বলেছিলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এখন তারা সর্বশেষ লাশটি উদ্ধারের জন্য অপেক্ষায় আছেন।’
মাত্র এক হাজার বন্দির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন প্যাভন কারাগারটি ১৯৭০ সালে গুয়েতেমালা সিটির পাশে নির্মাণ করা হয়েছিল। যদিও বর্তমানে সেখানে প্রায় চার হাজারের বেশি বন্দি রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে এই একই কারাগারে অপর এক দাঙ্গায় প্রায় ১৪ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছিল। তখনও সেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।