বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে আমেনা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে নিহতের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন।
পুলিশ গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করলেও নিহতের তিন বছরের শিশু কন্যা মেঘলা বলছে তার বাবা শেখ ফরিদ তার মা আমেনাকে মেরে ফেলেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারছেনা সে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পশ্চিম চরমজিদ গ্রামের লিটনের বাড়ী থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আমেনা বেগম দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের রবিউল হকের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে আছরের নামাজ পর আমেনাকে রান্না ঘরে রান্না করতে দেখেছে বাড়ীর লোকজন। ৫টার দিকে তাদের ঘর থেকে মেয়ে মেঘলার কান্নার শব্দ শুনে বাড়ীর লোকজন ভিতরে গিয়ে ঘরের আড়ীর সাথে গলায় দড়ি পেঁছানো অবস্থায় আমেনাকে দেখতে পায়।
নিহতের ভাই আবুল বাসার জানান, ২০১৫ সালে পশ্চিম চরমজিদ গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে শেখ ফরিদের সাথে আমেনার বিয়ে হয়। এরপর থেকে ফরিদ যৌতুকের জন্য আমেনাকে মারধর করতো। পরে বোনের সুখের কথা বিবেচনা করে নিরুপায় হয়ে ফরিদকে একটি সিএনজি কিনে দেয় তারা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফরিদ টাকার জন্য আমেনাকে মারধর করতে থাকে। বিষয়টি আমেনা তাদের আমাদের ছিলো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে আমেনা যখন রান্না করছিল তখন ফরিদ বাড়ীতে আসে এবং রান্না ঘর থেকে বসত ঘরে নিয়ে আমেনাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য আমেনার লাশ ঘরের আড়ীর সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ফরিদ।
চরজব্বার থানার ওসি মো. শাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।