পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
শুরু হয়ে গেছে সারা বিশ্বের মুসলিম স¤প্রদায়ের কাছে সবচেয়ে মর্যাদার মাস পবিত্র রমজান। সব বয়সের মুসলিম নরনারী এ মাসটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। কারণ, এই মাস সবচেয়ে বেশি বরকতময়। গুনাহ মাপের মাস। বেহেশত লাভের মাস। এজন্য সারা বিশ্বের মুসলিম এই বহুল প্রত্যাশিত ও আনন্দঘন মাসকে প্রাণখুলে স্বাগত জানাচ্ছেন। এ নিয়ে অনলাইন আরব নিউজে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পবিত্র রমজান শুরু হয় চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে। চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের কমপক্ষে ১০০ কোটি মুসলিম রোজা রাখা শুরু করেন। সূর্যোদয়ের আগে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সমস্ত রকম পানাহার, স্ত্রী সম্ভোগ, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকেন তারা। এর মধ্য দিয়ে শুধু শারীরিক বিশুদ্ধতাই অর্জন হয়- এমন নয়। মন ও আত্মাও পরিশুদ্ধ হয়। এ সময় বিশ্বজুড়ে প্রতিটি মুসলিমের হৃদয় থাকে একসূত্রে গাঁথা। তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। তারা একই ধ্যানে মগ্ন থাকেন। প্রতি বছর মুসলিমরা তাদের নিজেদের, পরিবার ও বাড়িঘরকে এই মাসের পবিত্রতার জন্য প্রস্তুত করেন। কারণ এই মাসেই মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর ওপর নাযিল হয়েছিল পবিত্র কোরআন। রমজানে প্রতিটি বাড়ি থাকে শান্ত। শহরজুড়ে মসজিদে মসজিদে থাকে নামাজের আয়োজন। আগেভাগে তৈরি করা ইফতার নিয়ে বাসায় বাসায় চলে প্রস্তুতি। পরিবারের সবাই একত্রিত হয়ে ইফতার করেন। সবার সামনে একই খাবার। এর মধ্য দিয়ে পারিবারিক বন্ধনও হয় শক্তিশালী। এর বাইরে মসজিদে বা বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায় ইফতারি। সেখানে ধনী-গরিবের ব্যবধান থাকে না। সউদী আরবে রমজান আসে প্রতিটি বাড়িতে পবিত্রতার এক বার্তা আর রীতি নিয়ে। সূর্য যখন পাটে বসা শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ভেতর থেকে এলাচের ঘ্রাণযুক্ত খাবার আর আরবের বিখ্যাত কফির ঘ্রাণ বেরিয়ে আসতে শুরু করে। শুকনো ময়দা দিয়ে দলা পাকানো হয় সমুসা তৈরির জন্য। গোলাপের ঘ্রাণযুক্ত চা-ও আছে তালিকায়। সৌদি আরবে যদি ঘোরেন তাহলে বিভিন্ন বাড়ি থেকে শুনতে পাবেন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত। আবার পরিবারের সদস্যরা প্রবীণদের জন্য পাঠিয়ে থাকেন নানা রকম মিষ্টি খাবারসহ নানা রকম খাবার। কিছু কিছু পরিবার আয়োজন করে কমর আল দিন নামে খোবানি নামের একটি ফলের জুস। বারলি অথবা পাউরুটির গুঁড়া, চিনি ও রেইজিন পানিতে কয়েক দিন মিশিয়ে রেখে তা দিয়ে তৈরি হিজাজ পানীয় তৈরি করা হয়। এর নাম সুবিয়া। পরিবেশন করা হয় তরমুজের জুস। ইফতারিতে হালকা খাবার খেয়ে থাকেন সৌদি আরবের মুসলিমরা। ইফতারের পরে তারাবিহ নামাজ আদায় করার আগে তারা কিছু মিষ্টি ও আরবের বিখ্যাত কফি পান করেন। পান করেন পবিত্র জমজমের পানি। টিনের তৈরি টুটুওয়া নামের ছোট্ট ছোট্ট কাপে তা পান করা হয়। মিশরে রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা আনন্দ করতে থাকে। তারা ছুটে যায় প্রতিবেশীদের দরজায়। ছোট ছোট ফানুস উড়িয়ে মজা করে। রমজানকে স্বাগত জানিয়ে গাইতে থাকে লোকগান ‘ওয়াহাইয়ি ইয়া ওয়াহাইয়ি’। রোজার আগমনে মিশরীয়রা তাদের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সাজান ফানুস দিয়ে। তবে ইফতারে তারা ভারি খাবার খান। সেহরিতে খান হালকা খাবার। পরিবারের সদস্যরা ও বন্ধুবান্ধবরা মসজিদে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করেন একসঙ্গে। ইফতারের পর নামাজ আদায় শেষে তারা বাড়িতে বা কোনো ক্যাফেতে জমায়েত হন। সেহরির কিছু সময় আগে মেসাহারাতি হিসেবে পরিচিত লোকজন সবাইকে ডেকে তোলেন ড্রাম বাজিয়ে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চললেও রাতে অনেক মার্কেট মানুষে পরিপূর্ণ থাকে। তারা কেনাকাটা করেন। চা পান করেন। জনগণের উদ্দেশে বাজানো হয় প্রচলিত গান। পরিবেশন করা হয় লোকনৃত্য। আরেকটি রীতি হলো সেখানে গল্প বলা হয়। আরব নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।