Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চুরির অপরাধে জাবি ছাত্রলীগ নেতাকে হল থেকে বের করে দিলেন জুনিয়ররা

জাবি সংবদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৯, ৩:০৬ পিএম

একই প্যানেলের রাজনৈতিক ছোট ভাইয়ের মোবাইল ফোন চুরি করে ধরা খেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মাদকাসক্ত ছাত্রলীগ নেতা। এই ঘটনার পর তাকে হল থেকে বের করে দিয়েছে জুনিয়ররা। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলে এই ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম কৌশিক রহমান শিমুল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ও ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’ জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩১২ নং রুমে থাকতেন। ছাত্রলীগের এই নেতা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
জানা যায়, ছাত্রলীগের এই নেতা নানা ধরনের মাদক সেবন করেন। তাই মাদকের টাকা জোগাড় করতে এর আগেও বিভিন্ন সময় আরও কয়েকটি মুঠোফোন চুরি, অতিথির কাছ থেকে টাকা চুরি ও সহপাঠীদের টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা ও হলের দোকান গুলোতে খাবার খেয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বটতলার দোকান গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘অন্তত ৫০ হাজার টাকা বাকি করেছেন তিনি।’ এক দোকানদার আক্ষেপ করে বলেন, ‘কৌশিক ভাইতো টাকা দেন না। খেয়ে সোজা হেটে চলে যান। তাই তাঁর বাকির হিসাব আর খাতায় লেখি না।’
এছাড়া ওই ছাত্রলীগ নেতার কয়েকজন জুনিয়র ও বন্ধু জানিয়েছেন- ‘তাদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সে আর টাকা ফেরৎ দেয়নি।’
এদিকে সোমবার দিবাগত রাতের মোবাইল চুরির ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, ‘রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষ থেকে ছাত্রলীগ কর্মী ফিরোজ (দর্শন-৪৩ ব্যাচ) এর শাওমি নোট ফাইভ ব্রান্ডের একটি মুঠোফোন চুরি হয়। সন্দেহের ভিত্তিতে কৌশিক রহমানের কক্ষে (হলের ৩১২ নম্বর কক্ষ) খোঁজাখুজি করতে যান ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী। এসময় তিনি জোর করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। পরে হলের ওয়াশরুমের কাছে গিয়ে মুঠোফোনটি ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে নেতাকর্মীরা তাঁকে হাতেনাতে ধরেন। এরপর রাত আড়াইটা পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে আলোচনা করেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্যানেলের নেতাকর্মীরা। তারপর রাত আড়াইটার দিকে কৌশিক রহমানকে হল থেকে বের করে দেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জান যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগে পদ পাওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার বিভিন্ন দোকানে অন্তত ৫০ হাজার টাকা বাকি করেছেন তিনি। কিন্তু কোন টাকাই পরিশোধ করেননি।
কয়েকটি দোকানের বাকির হিসাবের খাতায় দেখা যায়, হলের চায়ের দোকনদার ঈমান আলী ৩ হাজার টাকা, বটতলার জহিরের খাবারের হোটেলে ৫ হাজার টাকার উপরে, হযরতের খাবার হোটেলে আড়াই হাজার টাকা, সুজনের হোটেলে ২ হাজার টাকা, আনোয়ারের চায়ের দোকানে প্রায় ১ হাজার টাকাসহ বটতলার অন্তত ১৫টি দোকানে তাঁর কমপক্ষে ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাকি রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কৌশিক রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘এরকম কিছু তো শুনিনি। আমিতো জানতাম সে (কৌশিক রহমান) অসুস্থ্য। তাই তাঁকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো রাতে। যদি চুরির ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



 

Show all comments
  • ss miah ৭ মে, ২০১৯, ৪:১৬ পিএম says : 0
    বিশ্ববিদ্যালয় লেখা পড়া করার জায়গায় মাস্তানি,রংবাজি করার জায়গা নয়,মান সম্মান থাকতে যার যার বাড়ি যাও, যা করলে বাড়ির মানুষ চিনবে তোমায়, এমন একদিন আসবে লেখা পড়া ও মনে হয় আর বাংলাদেশে হবেনা কারণ তোমরা রংবাজ,এই আশা কেও কোনোদিন বিশবিদ্যালয় থেকে আশা করেনা।এটা কারো বাবার সম্পদ নয়,এটা লেখা পড়া করে আদর্শবান হইয়া সবাইকে আদর্শবান করা হোক সময় থাকতে বাড়ি যাও,বাড়ির মানুষ জানোক তুমি কে করো ,এই তোমার লেখা পড়া,সরকারি হলে থাকো ,,রংবাজি,মাস্তানি করার জায়গা নয়,সারা জীবন লেখা পড়া শেষ করে এই তোমার রেজাল্ট ?
    Total Reply(0) Reply
  • ash ৭ মে, ২০১৯, ৭:২৭ পিএম says : 0
    AI HOCHE AMADER SATRO RAJNITIR RESULT !! AMON E HOTE THAKBE, AI SATRORAJNITI AMADER YOUNG GENERATION KE MADOKASHOKTO, CHADA BAJ, DORSHOK, CORRR BANACHE ! ER JONNY DAI E KARA???? AMADER LEADER DER SELE MEYE RA KINTU THICK E BIDESH E LEKHA PORA KORCHE, R ONARA USE KORCHE SHADHARON GRAM THEKE ASHA BRILLIANT STUDEN DER, KISU DINER MODDY ODER DHONGSHO KORE DICHE , DRUGS, ARMS, CHADA BAJI , SINTAI, RAPE ARO KOTO KI
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ