পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্দালিব রহমান পার্থর দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) গতকাল সোমবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন। বিএনপির সংসদ সদস্যদের সংসদে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংকটের মধ্যেই তার জোটের পদত্যাগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যেও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন অনেকে।
জোট ত্যাগের কারণ হিসেবে গত সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে বিএনপির কাছে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো গুরুত্বহীন হয়ে পড়া, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে প্রাধান্য দেওয়া এবং নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পরও বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের ছয় এমপির শপথ নেওয়ায় নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে পার্থর বিজেপি ।গতকাল সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজেপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে বলা হয়, ‘২০ দলীয় জোটের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিজেপি ২০ দলীয় জোটের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসছে।’
বিজেপির জোট ত্যাগে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেসবুকে মো. জুয়েল রানা লিখেছেন, ‘‘বিজেপি বলতে শুধু আন্দালিব রহমান পার্থকেই চিনি এর বাইরে উনার দল বা দলের কোনো নেতাকেই তো চিনলাম না এখনো..। এটা ঠিক যে উনি একজন ভাল রাজনীতিবিদ তবে এরকম দুই একটা রাজনীতিবিদ বিএনপি ছেড়ে চলে গেলেও বিএনপির কিছু যায়ে আসে না!’’
‘‘এত দিন পার্থ যাদের আইডল ছিলেন, যারা তার প্রশংসায় ছিলেন সর্বদা পঞ্চমুখ, পার্থ এর সেই পাংখা, এসি রা এখন তার চৌদ্দগুষ্টি উদ্বার করে ছাড়বে। ঠিক যেমনটি হয়েছিল মাশরাফির বেলায়’’ মন্তব্য আক্তারুজ্জামান অনিকের।
বিজেপির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অনিক লিখেছেন, ‘‘পার্থ সাহেব সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তার উচিত হয়েছে,ওইরকম একটি আদর্শহীন দলের সঙ্গ ত্যাগ করা।এখন তার উচিত হবে আওয়ামী জোটে না যোগ দিয়ে, নিজের দলকে শক্তিশালী করে বিএনপি-আওয়ামীলীগের বিকল্প তৈরি করা।’’
তবে পার্থর জোট ত্যাগের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বনী ইসরাইল লিখেছেন ‘‘মিঃ পার্থ সাহেব আপনাকে আমার বেশ ভাল লাগে। ভাল লাগার কারন আপনি খুব সুন্দর ভাবে জাতির সমস্যার কথা গুলো তুলে ধরতে পারেন। আপনাকে ২০ দলিও জোটের হরতাল অবরোধ এ কখনও রাজপথে দেখিনি তবে ২০ দলিয় মিটিংয়ে আপনাকে দেখতে পেতাম। ২০ দলিও জোট ব্যার্থ হলে এই দায় আপনারো আছে অস্বীকার করতে পারবেন না। তাহলে ২০ জোটের দুঃসময়ে কেনো জোট ছাড়ার ঘোষণা?’’
‘‘বিএনপির মতো মেরুদণ্ডহিন দলের সাথে থাকলে যেকোন দল ই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এদের নেতৃত্বের প্রচুর ঘাটতি আছে। সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত,আরো আগে নিলে আরো ভালো হতো। শুভ কামনা পার্থ সাহেব। আশা করবো বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তভাবে আগমন ঘটাইবেন’’ মন্তব্য নাসিরুদ্দিন বাপ্পির।
শেখ রিয়াল আহমেদ মন্তব্য করেছেন, ‘‘বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি -বি জে পি- আন্দালিব রহমান পার্থ ২০ দল থেকে আজ বের হয়ে আসলো। নীতিগত দিক, নৈতিকতার প্রশ্নে একদিক থেকে ঠিক, ভালো সিদ্ধান্ত। তবে, আরো কিছুদিন সময় দেওয়া উচিত ছিলো। খারাপ সময়ে নৈতিকতা কাজে আসে নাহ।’’
ফেসবুক ব্যবহারকারী কাওছার আহাম্মেদ লিখেছেন,‘‘আমি মনে করি বিএনপি এইসব একনেতার একদলের জোটকে বিলুপ্ত করে একা চললে ভালো করবে! এই পার্থ সাহেবকে টকসো আর জনসভায় গরম বক্তব্য ছাড়া কোথাও দেখা যায় না! আসলে উনি শেখ পরিবারের সদস্য হিসেবে বিএনপি জোটে বেমানান! কেউ না পারে উনাকে বিশ্বাস করতে না পারে উনি!’’
পার্থর উদ্দেশ্যে এমএম আকন্ধ লিখেছেন, ‘‘আপনার দলের মাত্র একটা সিট, চলেগেলে বিএনপির তেমন কোন সমস্য হওয়ার কথা নয় এইটাও কিন্তু সঠিক, কিন্তু হ্যাঁ, আপনার সাথে একটি বিষয়ে একমত, ঐক্যফ্রন্টর্ চালে চললে, ধীরে ধীরে বিএনপি তার দল বিচলিত হবে!!আমরা যাহারা বিএনপির একক সমর্তক শুধু প্রেসিডেন্ট শহিদ জিয়ার আদর্শেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, নিয়জিত থাকুক।’’
‘‘আপনার সিদ্ধান্ত টা সঠিক হয়নি বলে মনে করি। কারণ বাকী সব সরিক দলকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত টা নেওয়া উচিৎ এবং ভুল ত্রুটি গুলো তুলে ধরা’’ লিখেছেন নিজাম হাসান।
মো. সুমন লিখেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে না ছেড়ে অন্তত দেশনেত্রীর মুক্তি পর্যন্ত থাকতে পারতেন দেশনেত্রীকে এভাবে ফেলে রেখে যাওয়াতে আপনার জোটে থেকে সারাজীবনের অর্জন অনেকটা কালেমা লেপন পড়লো..।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।