পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৫ হাজার ১২ কোটি ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সারাদেশের ৯০ কিলোমিটার বাঁধ ও নদীর তীর ভেঙে গেছে। নেত্রকোণা ৬০ মিটার বাঁধ এবং ৫হাজার হেষ্টর বোরো জমি ফসল নষ্ট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ১২০মিটার বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজিসহ কোন কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেননি তাদের তালিকা দিতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী।
গতকাল সোমবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রেরিত এক চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ তথ্য জানানো হয়। পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলো ধরা হয়। চিঠি পাঠানোর আগে সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সমন্বয় সভায় সচিবকে এ নির্দেশনা দেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মেইন্দাবাদ-রানীপুর এলাকায় পায়রা নদীর ভাঙনে এক হাজার মিটার বেড়িবাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পটুয়াখালী জেলার কলাপড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের রাবনা বাঁধ নদীর ভাঙ্গনে ৭ কি.মি. বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং একই উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর ভাঙনে ৭০ মিটার এবং সদর উপজেলার পাঙ্গাসিয়া নদীর ভাঙনে ১০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বরগুনা জেলার পাথরঘাট উপজেলার রহিতা ইউনিয়নে বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গনে ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৫০ মিটার বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। একই উপজেলার জিনতলা ইউনিয়নে ৩০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সদর উপজেলার চালিতাতলা ইউনিয়নে পায়রা নদীর ভাঙ্গনে ২০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা-বাগদা বিশরকান্দি নদীতে উচ্চ জোয়ারে ৪৫ মিটার বেড়িবাঁধ, বৈদ্যবাড়ীয়া খাল ইনলেট সংলগ্ন এলাকায় নদীতে উচ্চ জোয়ারে ৩০ মিটার এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার রগনাথপুর এফসিডি প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি স্থানে ৩২ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত।
ভোলা জেলা শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের তুলাতলী এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজে ৬০০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত। মেঘনা- তেতুলিয়া নদীর তীর ভাঙ্গনে রোধ প্রকল্প দৌলতপুর এলাকায় ২৪০মিটার এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাচড়া ফণির আঘাতে ৫৫০ মিটার এবং মনপুরা উপজেলার ফকিরধন সুইস গেট এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে ৩৫ মিটার বেড়িবাঁধ এবং জোয়ারে ৫০০মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বিশখালী নদীর ভাঙ্গনে ২০০ মিটার, রাজাপুর উপজেলা কুকরীখনা বাদুরতলা এলাকায় ২৫ মিটার বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়েছে। খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলাও কচুবুনিয়, বটিয়াঘাটা, মমিনপুর, ও চন্দন দিঘলিয়া ও পারহাজিগ্রাম উপজেলার ৯টি স্থানে ৯৬৪ মিটার এবং নারায়নখালী, খুলতলা-২টি, কটিয়াভিটা, বুজবনিয়া-৪টি, ঠাকুরুনবাড়ী, পূর্ব হালিয়া এবং পাকগাছা উপজেলাসহ ৪৮টি স্থানের ১১.দশমিক ১৯৩ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নড়াই জেলার লোহাগড়া উপজেলার লালনগর ইউনিয়নের শিয়ারবর, কোটাকোল, ইউনিয়নের ঘাঘা, লোহাগড়া, জয়পুর, আমডাঙ্গা, ইতনা, এবং সদর উপজেলার তুলারামপুর এলাকায় মধুমতি, নবগঙ্গা এবং আফ্রা নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ দশমিক ৫০০ মিটার।
যশোর জেলার বিল কেদারিয়া উপজেলার মনিরামপুর, তালা উপজেলার গলাভাঙ্গা, টি আর এম ডাইক, বলিয়া, পাখিমারাসহ ৭টি এলাকায় ১দশমিক ১৯৫ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঘেরহা জেলার ১০টি স্থানে ১ দশমিক ১৫০ মিটার. সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার, দাতিনাখালী, কালিকাপুরসহ ৬২টি স্থানে ৩৬ কিলোমিটার বাঁধক্ষতিগ্রস্ত। গোপালগঞ্জ জেলার কাটাখালী- টুঙ্গিপাড়ার ১৯৬ মিটার এবং ফরিদপুরে নায়ায়নখালী , লেবুতলা এলাকায় ২৯৬ মিটার নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লার মতলব উপজেলার ১২০মিটার, লক্ষীপুর সদর এবং কমলনগর উপজেলার ৬৭০মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার ক্যারিংচর এলাকার ৯০০ মিটার এবং ২টি রেগুলেটর ক্ষািতগ্রস্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার ৯টি, বাশখালী উপজেলায় ৬টি এবং সন্দীপ উপজেলায় ৪টি স্থানে প্রায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ২৬টি স্থানে ৬ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বান্দারবান পওর বিভাগের কুতুবদিয়া উপজেলার ৪টি স্থানে ৩ দশমিক ৫৬৫ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বারহাট্টার চিরাম ও আসমা ইউনিয়নে প্রায় ২০ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ রয়েছে। ওই বাঁধের প্রায় সাত কিলোমিটার সাবমার্জেবল যা বর্ষায় ডুবে যায়। এবার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও একদিনের বৃষ্টিতে কংশ নদীর শাখা গুমাই নদীতে পানি বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।